<p>সিরিয়ার উত্তর আলেপ্পো প্রদেশে বেশ কয়েকজন সিরীয় সেনা এবং বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, গতকাল বুধবারের সংঘর্ষে প্রায় ১০০ যোদ্ধা ও সেনা নিহত হয়েছেন। </p> <p><span style="font-size:1.25rem">উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি বৃহৎ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী এইচটিএস অভিযান চালানোর পর এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্তত ১০টি এলাকা হায়েত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তার সহযোগী বাহিনী দখল করেছে।</span></p> <p>সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) সঙ্গে কাজ করা কর্মীরা জানান, এইচটিএসের ৪৪ জন সদস্য এবং মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক বিবৃতিতে তারা আরো জানান, বিভিন্ন পদমর্যাদার কমপক্ষে চার কর্মকর্তাসহ (সিরিয়ান) শাসক বাহিনীর ৩৭ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। অস্ত্রের ভাণ্ডার, সাঁজোয়া যান, মেশিনারিজ এবং ভারী অস্ত্রও দখলে নেওয়া হয়েছে।</p> <p>মনিটরিং গ্রুপটি আরো বলেছে, সংঘর্ষে শিশুসহ বেসামরিক লোকজন নিহত ও আহত হয়েছে। এইচটিএস যোদ্ধারা এবং তাদের সহযোগীরা আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) এবং নুবল ও জাহরা এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অগ্রসর হয়েছিলেন।</p> <p>সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, সেখানে দুটি প্রধান শিয়া শহরে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের শক্তিশালী সশস্ত্র উপস্থিতি রয়েছে। এইচটিএস বাহিনী আলেপ্পোর পূর্বে আল-নায়রাব বিমানবন্দরেও আক্রমণ করেছে, যেখানে ইরানপন্থী যোদ্ধাদের ফাঁড়ি রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আলেপ্পোর শত শত পরিবার তুর্কি সীমান্তে নিরাপদ এলাকায় পালিয়ে গেছে। </p> <p>এইচটিএসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার সরকার এবং রাশিয়ান বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু। ট্রান্সন্যাশনাল আল-কায়েদা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এইচটিএস সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের আলাদা একটি ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। সিরিয়ায় স্থানীয় লক্ষ্যে নিজেদের আরো মধ্যপন্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।</p> <p>রাশিয়া ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের পক্ষে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রবেশ করেছিল, কারণ তার শাসন ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহী বাহিনীর হুমকির মুখে পড়েছিল।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>