<p>বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক জন টিনিসউড ১১২ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাউথপোর্টে একটি কেয়ার হোমে বাস করতেন। তার পরিবারের বরাত দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>টিনিসউড ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন এবং সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। টিনিসউডের পরিবার এক বিবৃতিতে জানায়, তার শেষ দিনটি সংগীত ও ভালোবাসার পরিবেশে কেটেছে। পাশাপাশি তারা বছরের পর বছর যারা টিনিসউডের যত্ন করেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।</p> <p>চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ১১৪ বছর বয়সী ভেনিজুয়েলার নাগরিক জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরার মৃত্যুর পর টিনিসউড বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী হচ্ছেন জাপানের টোমিকো ইতোওকা। তার বয়স এখন ১১৬ বছর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/04/03/1712144781-e41b7dcf55ec92238f99ed4e781cab40.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/04/03/1377189" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টাইটানিক জাহাজ ডোবার বছরে জন্ম নেওয়া টিনিসউড দুটি বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী ছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে তিনি তার দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার। আপনি হয় দীর্ঘজীবী হবেন, অথবা স্বল্পজীবী। এর ওপর আপনার তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’</p> <p>তবে টিনিসউড সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত জীবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আপনি অতিরিক্ত পান করেন, বেশি খান বা অতিরিক্ত হাঁটেন, কোনো কিছুই অতিরিক্ত করলে তা একসময় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’</p> <p>দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টিনিসউড রয়াল আর্মি পে কর্পসে প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তেল কম্পানি শেল ও বিপির হিসাব বিভাগে কাজ করেন। তিনি আজীবন ফুটবল ক্লাব লিভারপুলের সমর্থক ছিলেন এবং প্রতি শুক্রবার মাছ ও চিপস খেতেন।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>