<p>রাশিয়া রবিবার ইউক্রেনে ‘ব্যাপক’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। এটি ছিল কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। </p> <p>ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মস্কো ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১০০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যা রাজধানী কিয়েভসহ দেশের দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে এটি ‘একটি নারকীয় রাত ছিল’ উল্লেখ করে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, কিয়েভ ১৪৪টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।</p> <p>কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হামলায় মাইকোলাইভ, লভিভ, খেরসন, দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও ওডেসা অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হয়েছে। পাশাপাশি এ হামলাকে ইউক্রেনে প্রায় তিন বছরের রুশ আগ্রাসনের অন্যতম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।</p> <p>এই হামলাটি এমন সময় হলো, যখন মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অব্যাহতভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া প্রায় দুই বছর পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের প্রথম যোগাযোগের দুই দিন পর এ হামলা হলো। পুতিনকে মস্কোর আক্রমণ থামানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন শোলজ।</p> <p>কিয়েভ শোলজের এই যোগাযোগের সমালোচনা করেছিল এবং এ হামলাকে ক্রেমলিনের প্রকৃত প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা বলেছেন, ‘এটি তাদের জন্য যুদ্ধাপরাধী পুতিনের প্রকৃত প্রতিক্রিয়া, যারা সম্প্রতি তাকে ফোন বা সাক্ষাৎ করেছিলেন। আমরা শক্তির মাধ্যমে শান্তি চাই, আপসের মাধ্যমে নয়।’</p> <p>শোলজ রবিবার ফোনকলের পক্ষে থেকে বলেন, জার্মানি ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে। একই সঙ্গে ব্রাজিলে জি২০ সভায় যাওয়ার আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ‘কোনো সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের পেছনে নেওয়া হবে না’।</p> <p>তবে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রবিবার এই ফোনকলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কেউ পুতিনকে ফোন কল দিয়ে থামাতে পারবে না। গত রাতের আক্রমণ, যা এই যুদ্ধে অন্যতম বৃহত্তম ছিল, প্রমাণ করেছে, টেলিফোন কূটনীতি ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সহায়তার প্রকৃত প্রতিস্থাপন হতে পারে না।’</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>