<p>ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েল সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি। বুধবার  সেখানে দেওয়া বক্তব্যে লেবাননে ঢুকে অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল লেবাননজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে। হিজবুল্লাহকে প্রতিরোধ করতে আরো মিসাইল আক্রমণ চালানো হবে। তবে পাশাপাশি এই আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল লেবাননে ঢোকার রাস্তাও তৈরি করে রাখছে।’</p> <p>সেনাপ্রধানের বক্তব্য, যেকোনো সময় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননে প্রবেশ করতে পারে। হিজবুল্লাহকে মোকাবেলা করাই তাদের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য। হালেভির বক্তব্য, বুধবার ইসরায়েলে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে একটি মিসাইল তেল আবিব লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। জবাবে গোটা লেবাননজুড়ে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও। তবে হিজবুল্লাহকে খতম করতে এরপর লেবাননে ঢোকা প্রয়োজন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।</p> <p>সোমবার থেকে লেবাননে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। যার জেরে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। বস্তুত, ইসারায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকেই হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে আক্রমণ চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। তারই জেরে লেবাননে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল।</p> <p><strong>ফ্রান্স ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ</strong></p> <p>বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করেন। এরপর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ নোয়েল ব্যারট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুই দেশ একটি তিন সপ্তাহের সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব তৈরি করেছে। যা লেবানন এবং ইসরায়েলের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুই দেশকে আলোচনায় বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা এবং ফ্রান্স। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্রে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যারট।</p> <p>জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের দলকেও একই কথা জানিয়েছেন ব্যারট। জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কূটনৈতিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইসরায়েল। কিন্তু হিজবুল্লাহকে খতম করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেবে ইসরায়েল।</p>