<p>বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ইমরুল হাসান। সর্বজনপ্রিয় এই সংগঠক নতুন মেয়াদে দেশের ফুটবলকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সে প্রসঙ্গেই বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি, শুনেছেন <strong>শাহজাহান কবির</strong></p> <p>প্রশ্ন : সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন...</p> <p>ইমরুল হাসান : সব কিছু ঠিকঠাকভাবে হোক। কী করব, না করব এ নিয়ে আমি একটা ব্যক্তিগত মেনিফেস্টো তৈরি করেছি।</p> <p>প্রশ্ন : তার আগে গত মেয়াদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই। বাফুফেতে আপনার যাত্রাও শুরু সেবার।</p> <p>ইমরুল হাসান : গত মেয়াদের শুরুটা খুব কঠিন ছিল। যেহেতু আমাদেরও ক্লাব আছে। আর এখানে নতুন কিছুকে কেউ সহজে নিতে পারে না। আমাদের ক্লাবটাকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে, আপনি জানেন যে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।</p> <p>শেষের দিকে অবশ্য তেমন সমস্যা আর হয়নি। আর বাফুফেতে থেকে যেটা আমরা চেষ্টা করেছিলাম, মাঠের অভাবে তার অনেক কিছুই করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বলতে গেলে পাইনি। এক কমলাপুর স্টেডিয়ামে সব করতে হয়েছে।</p> <p>তাতে অনেক কিছুই বাদ পড়েছে। এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পেলে সব কটি লিগ অন্তত নিয়মিত করতে চাই।</p> <p>প্রশ্ন : এবার তো সিনিয়র সহসভাপতি, দায়িত্বের ব্যাপ্তি বড়। অগ্রাধিকারে কী আছে?</p> <p>ইমরুল : এবার প্রথম কাজ হবে গঠনতন্ত্রে হাত দেওয়া। তাতে হয়তো জেলার লোকরা একটু রুষ্ট হবেন।</p> <p>কারণ এবার একটা ধারা সংযোজন করব, কোনো জেলায় যদি ৪ বছরের মধ্যে ৩ বছর লিগ না হয় ওই জেলা বাফুফের প্রতিনিধি থাকবে না। এটা আমি করবই, ইনশাআল্লাহ। জেলাগুলো শুধু ভোটব্যাংক হয়ে থাকুক, তা চাই না। শর্ত পূরণ না করলে তারা সেই সুযোগই পাবে না। স্থানীয় পর্যায়ে একটা লিগ করতে কত খরচ হয়, ২০, ২৫ কি ৩০ লাখ টাকা। এটাও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা যায়। তাদের ওপর চাপটুকু থাকলে সেই চেষ্টাটা থাকবে। আর তাহলে অনেক খেলোয়াড়ও বের হয়ে আসবে।</p> <p>প্রশ্ন : কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছর মেয়াদে এটা নিয়েই সবার আক্ষেপ ছিল বেশি...</p> <p>ইমরুল : আমি গত নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম, এটার দায়িত্ব আমাকে দিন। তিনি আমাকে দিলেনই না। একবার তো নিজেই রেখে দিলেন। কাজ হয়নি।</p> <p>প্রশ্ন : ফুটবলের বর্তমান চেহারা পাল্টাতেও এটাই কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখন?</p> <p>ইমরুল : সারা দেশে নিয়মিত খেলা হলে ফুটবলের চেহারা পাল্টাবে, পাল্টাতে বাধ্য। গত মেয়াদে ৬৪ জেলার মধ্যে মাত্র পাঁচ জেলায় শুধু দুটি করে লিগ হয়েছে। বেশির ভাগ জেলায় একটি লিগ আর কিছু জেলায় তো লিগই হয়নি। খেলোয়াড় বের হবে কোত্থেকে! তা-ও কোন পাঁচটা জেলায় হয়েছে, যে পাঁচ জেলায় আমরা (বসুন্ধরা গ্রুপ) স্পন্সর করেছি। ওখানেই শুধু দুটি করে লিগ হয়েছে।</p> <p>প্রশ্ন : গত মেয়াদে বসুন্ধরা গ্রুপ তো বড় সহায় ছিল ফুটবলের জন্য। এবারও নিশ্চয় তা অব্যাহত থাকবে?</p> <p>ইমরুল : অবশ্যই থাকবে। ফুটবলে এত এত বিনিয়োগ, বসুন্ধরা তো ফুটবলের সঙ্গে আছেই। শুধু ফুটবল নয়, আরো অনেক খেলায়ই আমরা আছি। কিছু জনপ্রিয় খেলা যেমন—ব্যাডমিন্টন, দাবা, টেবিল টেনিস...এসব খেলায়ও আমরা থাকব।</p> <p>প্রশ্ন : প্রিমিয়ার লিগটাকে জনপ্রিয় করতে গতবার বেশ কিছু কাজ করেছেন, এবার কী ভাবনা?</p> <p>ইমরুল : যখন শুধু বঙ্গবন্ধুতে খেলা হতো, তখন সবারই দাবি ছিল এটা ছড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু দেখা গেছে এতেও দর্শক ঢাকার বাইরে খুব বাড়েনি। তবে আমরা যেটা করব, ছয়-সাতটি ভেন্যু ক্লাবগুলোকে লম্বা সময়ের জন্য দিয়ে দেব। এটা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা হয়েছে। এতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে। আর জেলায় লিগ থাকলে সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব তো পড়বেই।</p> <p>প্রশ্ন : গত মেয়াদের শেষ অর্থ কমিটির দায়িত্ব নিয়েছেন, এ বিষয়ে কী ভাবনা?</p> <p>ইমরুল : এটা খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। আমি কিন্তু একটা কিছু না বোঝা পর্যন্ত কোথাও সই দিইনি। আগামী দিনে অভ্যন্তরীণ অডিটসহ এখানেও সংস্কারের কিছু পরিকল্পনা আছে।</p>