<p>পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত বাংলাদেশের, কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কিনা ফরোয়ার্ডরা ছিলেন বিবর্ণ চেহারায়। হারতে হারতে শেষ পর্যন্ত মান বেঁচেছে মেয়েদের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সাবিনা-শামসুন্নাহারদের সেরা ছন্দে দেখতে চান কোচ পিটার বাটলার। মেয়েদের ওপর বিশ্বাস রেখে এই কোচ জানিয়েছেন, সামনের ম্যাচে গোল আসবেই।</p> <p>‘আমরা পাকিস্তান ম্যাচে খুব ভালো খেলেছি, যদিও একটির বেশি গোল পাইনি। মেয়েরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। ভালো ফুটবল খেললেও ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। আমি বিশ্বাস করি, মেয়েরা এভাবে খেলতে পারলে গোল আরো আসবে। আমাদের শুধু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে’, কাঠমাণ্ডু থেকে কালের কণ্ঠকে বলেছেন বাটলার।</p> <p>পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে হারের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। সেই দলের বিপক্ষেই হারের শঙ্কা জেগেছিল মেয়েদের। রক্ষণের ভুলে শুরুতে গোল হজম করে ৯০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র জাল খুঁজে নিলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।</p> <p>তার আগে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে ফরোয়ার্ড লাইন। ভারত ম্যাচে ভুলের পুনরাবৃত্তি চান না বলেই জানিয়েছেন মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা, ‘আমরা খেলোয়াড়রা সবাই সবার সঙ্গে আলাপ করেছি, কোন জায়গায় কার কী ভুল হয়েছে বা কিভাবে খেলা দরকার, এগুলো নিয়ে আসলে সবাই আলোচনা করেছি। কী করলে আরো ভালো হতো, সেটা নিয়েও আমরা খেলোয়াড়রা আলোচনা করেছি।’ কোচ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও পাকিস্তান ম্যাচের ফলে অখুশি মেয়েরা, এমনটাই বলেছেন মনিকা, ‘এই ফলাফলে আমরা খুশি নই। কোচ কিছুটা সন্তুষ্ট হয়েছেন। আগে আমরা পাকিস্তানকে পাঁচ-ছয় গোলে হারিয়েছি। সেই দলের কাছে হেরে গেলে আমাদের জন্য খুবই খারাপ হতো।’</p> <p>সাফের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। বাংলাদেশের সামনে এখনো সেমির দরজা খোলা রয়েছে। ভারতের কাছে ৩-০ গোলে হারলেও শেষ চারে খেলবে বাটলারের দল। বাংলাদেশ কোচ অবশ্য এসব সমীকরণে না গিয়ে জয়ের ছকই আঁকছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা। সেভাবেই পরিকল্পনা করছি। ভারত শক্তিশালী দল, তবে তাদের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা দেখতে পেয়েছি। আশা করছি, আমাদের মেয়েরা সেই সুযোগ কাজে লাগাবে।’</p>