<p>ঈমানদারের জন্য শীতকাল বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। হাদিস শরিফে এসেছে, শীতকাল মুমিনের জন্য ইবাদতের বসন্তকাল। আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৯৫)</p> <p>শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। তাই শীতকালে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় না। সুতরাং শীতকালের অন্যতম আমল হলো, কারো যদি কাজা রোজা বাকি থাকে, তাহলে শীতকালে সেগুলো আদায় করে নেওয়া। তা ছাড়া বেশি বেশি নফল রোজা রাখারও এটি সুবর্ণ সুযোগ। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘বিশুদ্ধ নিয়তে যে ব্যক্তি এক দিন রোজা রাখল, মহান আল্লাহ প্রতিদানস্বরূপ জাহান্নাম ও ওই ব্যক্তির মাঝখানে ৭০ বছরের দূরত্ব তৈরি করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২৮৪০)</p> <p>বছরের পাঁচ দিন রোজা রাখা হারাম। দুই ঈদের দিন এবং ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের পরের তিন দিন। আর মাহে রমজানের রোজা রাখা ফরজ। এ ছাড়া বছরের বাকি দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা যায়। নবীজি (সা.) সোমবার আর বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এই দুদিনের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিসের কিতাবগুলোতে বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে বান্দার আমল তুলে ধরা হয়। আর আমি পছন্দ করি, আমার আমল এমন সময় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৪৭)</p> <p>প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামী পরিভাষায় এই দিনগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। বিজ শব্দের অর্থ সাদা বা পরিষ্কার। এই দিনগুলোতে যেহেতু চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত থাকে, ঝলমল করে; এ জন্য দিনগুলোকে আইয়ামে বিজ বলা হয়। আবুু জর (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬১)<br /> এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬২)</p> <p>মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।</p>