<p>আমি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে, বিশেষ করে বসুন্ধরা শুভসংঘের। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার পর তারা আমাকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান করে। এই সুযোগটি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। বৃত্তিটি কেবল আর্থিক সহায়তা নয়, বরং এটি আমাকে আত্মবিশ্বাসও দিয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি, পাশে কেউ থাকলে আমাদের সংগ্রামগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়।</p> <p>উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনার সময় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা আমাকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং জানতাম, এই প্রচেষ্টা শুধু আমার জন্য নয়, বরং তাদের জন্যও, যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হতে পেরেছি।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ আপনারা শিক্ষার্থীদের জন্য যেভাবে চিন্তা করেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই বৃত্তির মাধ্যমে, বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘ শুধু আমাকে নয়, অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে নতুন সম্ভাবনার পথে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতেও এভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের সাফল্যের পথ সুগম করবেন, এই প্রত্যাশা করি।</p> <p>এখন আমি স্বপ্ন দেখি, আমার অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব। আমি বিশ্বাস করি, বসুন্ধরা শুভসংঘের সহযোগিতায় আমি সেই পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।- মুকাররামা</p> <p>প্রসঙ্গত, দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখায় অসামান্য সফলতা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় ২০২২ সালে সফলতার সঙ্গে এসএসসি পাস করা শতাধিক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশের বৃহত্তম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবরগুলো দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।</p>