<p>চাঁদ পাথর আর ধূলিধূসরিত উপগ্রহ। কিন্তু ধুলোবালি থাকলেও চাঁদে সেসব ধুলোবালি ওড়ার উপায় নেই। কারণ, চাঁদের যে বায়ুমণ্ডলই নেই। অর্থাৎ চাদের বুকে কোনো বাতাস বয় না।</p> <p>কিন্তু কেন চাঁদে বাতাস নেই?</p> <p>এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আগে জানতে হবে বাতাস আসলে কী? </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বই পড়তে গেলে ঘুম আসে কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732605218-a417bb506b2a8c96503639bd0d2d1734.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বই পড়তে গেলে ঘুম আসে কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/26/1450793" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণে তৈরি বায়ুমণ্ডলই আসলে বাতাস। অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডসহ আরও কিছু গ্যাস মিলে পৃথিবীর বাতাস বা বায়ুমণ্ডল তৈরি।</p> <p>বায়ুমণ্ডল মূলত ভূপৃষ্ঠের কাছিাকাছি থাকে। পৃথিবীর মহাকর্ষীয় বল বায়ুমণ্ডলকে পৃথিবীর চারপাশে বেঁধে রাখে। <br /> চাঁদে মহাকর্ষীয় বলের শক্তিমত্তা পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ । কোনো বস্তুর ঘনত্ব যত বেশি, তার ওপর মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব তত বেশি। কঠিন, তরল ও বায়বীয় এই তিন ধরনের বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে কম ঘনত্ব গ্যাসীয় পদার্থের। তাই এদের ওপর মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব কম থাকে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘানিতে ভাঙানো তেল কেন স্বাস্থ্যকর?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732603900-e42bd7f5c44a8c27353015f461755699.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘানিতে ভাঙানো তেল কেন স্বাস্থ্যকর?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/26/1450786" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পৃথিবী আকারে-ওজনে অনেক বড়। তাই কম ঘনত্বের গ্যাসীয় পদার্থকেও নিজের চারপাশে আটকে রাখতে পারে। কিন্তু চাঁদের মহাকর্ষীয় বল অতি দুর্বল। তাই বাতাসকে আটকে রাখতে পারে না চাঁদ। যদি কোনো কারণে চাঁদে গ্যাসীয় পদার্থ তৈরি করা যায়, প্রাকৃতিকভাবে সেটাকে চাঁদ আটকে রাখতে পারে না। ফলে ওইসব গ্যাসও মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবে।</p> <p>পৃথিবীতে বাতাস থাকার আরেকটি কারণ হলো আমাদের গ্রহের চৌম্বকক্ষেত্র বা ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। এই চুম্বকক্ষেত্র সূর্যের তীব্র বিকিরণ বা সৌর বায়ুর (সোলার উইন্ড) হাত থেকে বায়ুমণ্ডলকে রক্ষা করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৃত্যুর কোলে বসে বড় আবিষ্কার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732538835-8063b741bff05a6cc1bb3df99e0bc8fb.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৃত্যুর কোলে বসে বড় আবিষ্কার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450518" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চাঁদে কোনো শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র নেই। তাই শক্তিশালী সৌর বায়ু সহজেই চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গ্যাস কণাগুলোকে মহাশূন্যে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।</p> <p>পৃথিবীতে আগ্নেয়গিরি, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপ বায়ুমণ্ডল তৈরিতে সহায়তা করে। কিন্তু চাঁদে এসব কার্যকলাপ নেই। চাঁদ একটি মৃত জ্যোতিষ্ক—এর অভ্যন্তরে কোনো উত্তপ্ত তরল পদার্থ নেই। তাই চাঁদ নিজের বায়ুমণ্ডল তৈরির ক্ষমতা হারিয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিপসের প্যাকেটে বাতাস থাকে কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732534734-06838d276504bc2b5fe5154d39079bce.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিপসের প্যাকেটে বাতাস থাকে কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450492" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চাঁদে গ্যাস উৎপন্ন করার মতো কার্যকলাপ প্রায় নেই। পৃথিবীতে যেমন জীবজগৎ, উদ্ভিদ এবং সামুদ্রিক প্রক্রিয়াগুলো গ্যাস উৎপন্ন করে, চাঁদে তেমন কোনো উৎস নেই। </p> <p>মূলত এই সবকটি কারণেই চাঁদে কোনো বাতাস নেই।</p> <p>সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস</p>