<p>তার উদ্দেশ্য ছিল অ্যান্টিগ্রাভিটির ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া, তাহলে এক সময় হয়তো তারা সরকারকেও প্রভাবিত করতে পারবে। তিনি রকেট সায়েন্সকে স্রেফ টাকা অপচয় বলে প্রচার করতে লাগলেন, এর বদলে যদি অ্যান্টিগ্রাভিটির প্রযুক্তি সরকারের হাতে থাকে তাহলে খরচ অনেক কমে যাবে। এর জন্য সবার আগে যেটা দরকার, সেটা হলো আইনস্টাইনের সেই ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরির সমাধান।</p> <p><a href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/14/1425379"><span style="color:#2980b9">আরো পড়ুন : ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ৬</span></a></p> <p>প্রায় এক বছর পর আলেন্ডের কাছ থেকে আবার একটা চিঠি পেলেন জেসাপ। চিঠির ভাষা, ছিরিছাঁদে, হাতের লেখা হুবহু আগের চিঠিটার মতোই। ঠিকানাও এক। শুধু পত্র লেখকের নামটা একটু বদলে গেছে, কার্লোস মিগুয়েল অ্যালেন্ড নামটা সংক্ষেপে লেখার পর দাঁড়িয়েছে কার্ল এম অ্যালেন।</p> <p>চিঠির ভাষা দেখে জেসাপ বুঝলেন, আলেন্ড কোনো একটা বক্তৃতায় উপস্থিত থেকে তার যুক্তি ও ব্যাখ্যা শুনেছেন। তিনি লিখেছেন, জেসাপ যে জনগণকে প্রভাবিত করছেন আইনস্টাইনের ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরির কাজটা যেন শেষ করার জন্য সরকারকে চাপ দেয়, সেটার আর দরকার নেই। কারণ অ্যালেন্ড লিখেছেন, বহু আগেই আইনস্টাইন এই তত্ত্বের সমাধান করেছেন। সেটা ১৯২৬ সালে। <br /> বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা জানেন, আইনস্টাইনের জীবনের শেষ ৩৫টা বছর ছুটেছেন এই একটা তত্ত্বের পেছনে।</p> <p>এমনকি মৃত্যুর দিনও তার ডেস্কে ছিল অসম্পূর্ণ এই কাজের খসড়া। কিন্তু আলেন্ড বলছেন, আইনস্টাইন এই সমস্যার সমাধান করেছেন। তা-ই যদি হবে তাহলে মহাবিজ্ঞানী সেটা লুকিয়ে রাখলেন কেন? আলেন্ডের মতে, ভয়; ভয় থেকেই আইনস্টাইন এই তত্ত্ব প্রকাশ করেননি। তার নাকি ভয় ছিল, এই তত্ত্বের সাহায্যে মানবতা বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব, যেগুলোর সাহায্যে পুরো মানবজাতিকেই ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব!</p> <p>আলেন্ড আরো জানান, আইনস্টাইন ইউনিফায়েড থিওরি সম্পূর্ণ হয়েছে, সেটার প্রমাণও আছে। সেটা নাকি ঘোষণা করেছেন ড. বি রাসেল। ড. বি রাসেল বলতে বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক ও বিজ্ঞানী বাট্রার্ন্ড রাসেলের কথা বলেছেন, এ আর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। তবে রাসেল এ ব্যাপারে কখনো মুখ খুলেছিলেন কি না, কেউ বলতে পারবে না। এর পরই আলেন্ড ফিল্ড থিওরি নিয়ে নিজের জ্ঞান কপচান। ফ্যারাডের বিদ্যুৎচুম্বকক্ষেত্রের কথা বলেন। সেটা কিভাবে কাজ করে তা-ও বোঝানোর চেষ্টা করে তথাকথিত বিজ্ঞানী জেসাপকে। কিন্তু চিঠি পড়লেই বোঝা যায়, বিশেষ করে যারা পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশোনা করেছেন, তারা বুঝবেন আলেন্ডের চিঠিতে কত গোঁজামিল ছিল।</p> <p>চলবে...<br /> সূত্র : অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি</p>