<p style="text-align:justify">জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন-ইউনিফিল) অংশ নিতে লেবাননের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নৌবাহিনীর ৭৫ জন সদস্যের একটি দল। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতিসংঘের বিমানযোগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে তারা।</p> <p style="text-align:justify">নৌবাহিনী সদস্যরা বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের (ব্যানকন-১৫) আওতায় নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’-এ যোগদান করবেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।</p> <p style="text-align:justify">আইএসপিআর জানায়, এসময় চিফ স্টাফ অফিসার টু কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল নৌবাহিনী সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তখন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নৌবাহিনী সদস্যদের উদ্দেশে সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে সব সদস্যকে একযোগে কাজ করার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">গত ১৯ নভেম্বর প্রথম গ্রুপে ৩৫ জন নৌবাহিনী সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলে অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে, ব্যানকন-১৪-এর নৌ সদস্যরা আগামী ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।</p> <p style="text-align:justify">২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">বর্তমানে নিয়োজিত নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘সংগ্রাম’ লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি ওই জাহাজ লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবাননের সামরিক সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">আইএসপিআর বলেছে, লেবাননে মোতায়েনের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের নৌ সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এই গর্বিত অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে নৌবাহিনী।</p>