<p style="text-align:justify">অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “গৃহযুদ্ধের পূর্ববর্তী মুহূর্তে একটা ‘সামাল দেওয়া’ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান। কিন্তু এ যুদ্ধ তো হবেই কোনো না কোনো ফরমেটে।’</p> <p style="text-align:justify">রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। </p> <p style="text-align:justify">গণ-অভ্যুত্থানের শতদিন পরে শিরোনামের ওই পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘পুরনো বন্দোবস্তের প্রতি দাসখত লিখে দেওয়া লোকেরা আবারও ঐক্যবদ্ধ হবে। এ দল, ওই দল এখানে মুখ্য নয়। মুখ্য হলো পুরাতন প্রজন্ম ও বন্দোবস্ত।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘১০ বছর ধরে সংস্কার চলবে, চার বছরের মধ্যে নির্বাচন অসম্ভব’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731924698-c9518faf759e4f8ed761d38c25cd8251.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘১০ বছর ধরে সংস্কার চলবে, চার বছরের মধ্যে নির্বাচন অসম্ভব’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/18/1448002" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্র-তরুণদের জন্য একটি সুযোগ এসেছে। প্রতিটি প্রজন্মের কাছেই এরকম একটি সুযোগ আসে। ৯০-এর ছাত্র-তরুণ খরচ হয়ে গেছে আগেজার প্রজন্মের ধূর্তামির কাছে। আবারও সে ধূর্ত পুরাতনপন্থীরা ছাত্র-তরুণদের মধ্যে যে বিভেদ ও অনাস্থা তৈরি করছেন, সে সম্বন্ধে ছাত্র-তরুণরা সতর্ক না থাকলে তারা প্রজন্ম আকারে হত্যাযোগ্য হয়ে উঠবেন। কারণ, ৯০ এত রক্তাক্ত এবং কনফ্রন্টেশনাল ছিল না।’</p> <p style="text-align:justify">মাহফুজ লিখেছেন, “এখানে প্রায় অর্ধলক্ষ আহত, মানে মাঠের লড়াকু আছেন। দু’হাজার বা ততোর্ধ্ব শহীদ আছেন। গৃহযুদ্ধের পূর্ববর্তী মুহূর্তে একটা ‘সামাল দেওয়া’ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান। কিন্তু এ যুদ্ধ তো হবেই কোনো না কোনো ফরমেটে।”</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো লিখেছেন, ‘পুরাতন ও নূতনের এ রক্তাক্ত দ্বন্দ্বে রণনীতি ও প্রধান দ্বন্ধ বুঝে নেওয়া জরুরি। খুবই জরুরি। মৃত্যু আমাদের ছুঁয়ে গেছে, আমরা জ্যান্তমরা হয়ে গেছি। আমাদের শহীদ হয়ে যাওয়া ভাই-বোনের সাক্ষ্যকে নিরন্তর পুনরাবৃত্তি করে যেতেই হবে। ক্লান্ত হইয়েন না, জড়ো হোন, ঘন হয়ে বসুন।’</p>