<p style="text-align:justify">স্বৈরাচারের দোসরদের গ্রেপ্তারসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে স্মারকলিপি জমা দেন অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের এর সন্তান বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম।</p> <p style="text-align:justify">আটদফা দাবিগুলো হলো- দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ স্বৈরাচারী সরকারের সকল দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানা ভিত্তিক তালিকা করে টপটেন ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির ওপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। </p> <p style="text-align:justify">সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএলর গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন  করতে হবে। </p> <p style="text-align:justify">ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">হাসিনা কর্তৃক নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইমেজ বিল্ডিং করার আহ্বান।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ গত ১৪ আগস্ট থেকে ৮ দফা দাবি আদায়ে সপ্তাহব্যাপী ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে। সবশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করলো।</p>