<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া সহিংসতার ঘটনা থামছে না। সংখ্যালঘুদের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলা চলছেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘরবাড়ির পাশাপাশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন দেওয়া বা লুটপাট চলছে। পুলিশের অনুপস্থিতির প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের নতুন আইজি ময়নুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থী-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এরপর থেকে দেশে শুরু হয় নৈরাজ্য।</p> <p style="text-align:justify">রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা বা আগুন দেওয়া হচ্ছে। হামলার ভয়ে পুলিশ সদস্যরাই থানায় তালা মেরে পালিয়ে থাকায় দুর্বৃত্তরা বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা করছে। চালাচ্ছে লুটপাট। রাজধানীসহ  দেশজুড়ে পাড়া-মহল্লায় রাতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীসহ তরুণরা দল বেঁধে পাহারা দিচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify"> আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। জরুরি নম্বরে ফোন দিলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর বিপুল সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে তাঁরা জনবলের অভাবে ভুগছেন বলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নিজে মিডিয়ায় বলেছেন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>সাতক্ষীরায় ব্যাপক নাশকতা</strong></p> <p style="text-align:justify">শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কয়েক দিন কেটে গেলেও সাতক্ষীরায় থামছে না সহিংসতা। পুলিশের কোনো কার্যক্রম না থাকায় অভিযোগও করা যাচ্ছে না।</p> <p style="text-align:justify">এ সুযোগে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। মারামারি, ঘের ও জমি দখলের ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে। থানার কোনো কার্যক্রম না থাকায় গত সোমবার রাতে আশাশুনির প্রতাপনগরের নাকনা গ্রামে সহিংসতায় খুন হওয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ ৯ জন এবং সদর উপজেলার মৃগীডাঙা ও বৈকারী গ্রামে খুন হওয়া পাঁচজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। মামলাও হয়নি।</p> <p style="text-align:justify">সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর, কালীগঞ্জ, তালা, পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে না পাওয়া গেলেও সেখানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। জমি জবরদখল করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে পাটকেলঘাটার ৩ নম্বর খেয়াঘাটের (কোমরপুর) মোড়ে আরিজুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। অশোকের মোড়ের ফারুক হোসেন ও কালীনাথ সাহার ধান-চালের আড়তে লুটপাট করে আগুন দেওয়া হয়েছে। একই রাতে খলিশখালী হাজরাপাড়ায় সুব্রত লাহিড়ীর বাড়িতে ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ঘর ও কালীমন্দির ভাঙচুর করেছে। চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী, বব্বর পাল ও বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর বাড়িঘর লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে গত সোমবার রাতে খলিশখালীর কাদিকাটি গ্রামের নীলকমল দাস, সঞ্জয় দাস, চিত্তরঞ্জন দাস, মুকসুদপুর গ্রামের মলয় দাস, বিধান দাস, বিশ্বনাথ দাসসহ অনেকের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে আগুন দেওয়া হয়েছে। একই রাতে কলারোয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহার বাড়ির ফটকে পটকা ফাটিয়ে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছে। অশোক চক্রবর্তীর বাড়ির দুর্গামন্দিরের পাশে বিচালিগাদায় আগুন দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে দুই লাখ টাকা। ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে চৌরাস্তার আওয়ামী লীগ অফিস।</p> <p style="text-align:justify">জেলা, উপজেলার বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসসহ মাইকিং করে আসছেন। তার পরও এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত চাঁদাবাজিসহ হামলা, সংঘর্ষ অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে মারধর, জমি ও ঘের দখলের ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>বগুড়ায় হামলা ভাঙচুর লুটপাট</strong></p> <p style="text-align:justify">গ্রামে গ্রামে কীর্তন গেয়ে বেড়ানো পুষ্প মাতাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুষ্প রানী দাস ওরফে পুষ্প মাতাজী বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা বাজারসংলগ্ন বধুয়াতলা এলাকার অনন্ত দাসের স্ত্রী। গত সোমবার রাতে তাঁর বাড়িসহ একই পাড়ার তিনটি বাড়ি ও একটি মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পুষ্প মাতাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর এবং চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">যোগাযোগ করা হলে বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, যেহেতু সোমবার সদর থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, এ কারণে সব পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ লাইনে অবস্থান করছেন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>কুমিল্লায় বীরচন্দ্র পাঠাগারে ভাঙচুর ও আগুন</strong></p> <p style="text-align:justify">কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন। সবার কাছে এটি ‘টাউন হল’ নামেই বেশি পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই পাঠাগারে অন্তত ২৪ হাজার বই রক্ষিত ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সংরক্ষিত ছিল ২০০ বছরের বেশি পুরনো কিছু বই ও পুঁথি। গণপাঠাগারটি লুুট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  অভিযোগ করা হয়েছে, গত সোমবার বিকেলে একটি বিজয় মিছিল থেকে একদল দুর্বৃত্ত গিয়ে বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে হামলা চালায়।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।’</p> <p style="text-align:justify"><strong>শতাধিক হিন্দু পরিবার বাড়ি ছাড়া</strong></p> <p style="text-align:justify">তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ হাটের প্রবেশপথেই হিন্দুপাড়া। হাট জমজমাট থাকলেও পাড়াটি সুনসান। গত মঙ্গলবার সকালে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার পর আতঙ্কিত লোকজন বাড়িতে তালা লাগিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কোনো বাড়িতে শুধু বৃদ্ধা মহিলারা আছেন।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ পাওয়া গেছে, মঙ্গলবার সকালে গোলজার হোসেনের ছেলে শামসুল শাহ, হাসান আলী শাহ ও আরিফ শাহের নেতৃত্বে একদল হামলাকারী নওগাঁ হিন্দুপল্লীতে হামলা চালায়। প্রথমেই তারা সুশান্ত মহান্তোর (৪২) বাড়িতে আক্রমণ করে লুটপাট চালায়। বিভিন্ন মালপত্র ও স্বর্ণালংকার এবং নগদ তিন লাখ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে যায়। মারধর করা হয় সুশান্তর স্ত্রী অর্চনা রানী ও বৃদ্ধা মা সাবিত্রী রানীকে। এরপর দুর্বৃত্তরা পাশের বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে স্থানীয় জনসাধারণ বাধা দিয়ে প্রতিরোধ করেন। অর্চনা রানী মোহন্তোর কাছে হামলা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘একমাত্র হিন্দু হওয়া ছাড়া আর তো কোনো অপরাধ দেখি না। তবে দলীয় নয়, সুযোগ বুঝে এলাকার মানুষই এ হামলা চালিয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify"><strong>আতঙ্কিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও</strong></p> <p style="text-align:justify">বুধবার সন্ধ্যায় মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহর হেলাঞ্চি গ্রামের বাড়িতে লুটপাট চালাতে দুটি ট্রাক নিয়ে আসে বহিরাগত ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত। তারা চেয়ারম্যানের গোয়ালের গরু ও এক্সকাভেটর ট্রাকে তোলার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় বিএনপি নেতা আজিবর রহমানের নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে দুর্বৃত্তদের গণপিটুনি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। একই দিন রাতে উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় ছয়-সাত যুবক হানা দিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না পেলে কামালের স্কুলে পড়া মেয়েকে তুলে নেওয়ার হুমকিও দেন।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া মশ্মিমনগর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের খামার থেকে আটটি গরু ও ৯টি ছাগল লুট হয়েছে। পরে একটি গরু ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের কাঁঠালতলা বাজারের কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামানের খামারে থাকা সাতটি গরু এবং বেশ কয়েকটি হাঁস লুট করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি মোটরসাইকেল। শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের এক অনুসারী জাকির হোসেনের ছয় লাখ টাকা মূল্যের তিনটি গরু লুট হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ বিশ্বাসের গোয়াল থেকে গরু নিয়ে পিকনিকের খবর পাওয়া গেছে। বাকোশপোল গ্রামের সংখ্যালঘু একটি বাড়ি থেকে গরু ও ছাগল নিয়ে আসার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুকের হস্তক্ষেপে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্রের বাড়িসহ কুলটিয়া, দূর্বাডাঙ্গা ও খানপুর ইউনিয়নের সংখ্যালঘু কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে শ্রমিক লীগ নেতা বাবুল করিম বাবলুর কার্যালয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে মণিরামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন লিটনের ফার্মেসি। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের বাসভবনে। লুট করা হয়েছে কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম মিন্টুর টিনের দোকান। ভাঙচুর করা হয়েছে গাঙ্গুলিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম এয়াতিমের বাড়ি। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চালানো হয়েছে ভাঙচুর।</p> <p style="text-align:justify">হামলার শিকার হয়ে মণিরামপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টন, খানপুর ইউপির সদস্য বাবর আলীসহ অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এলাকার অনেকে বলেছেন, হামলার শিকার এসব লোকজন গত ১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলায় অতিষ্ঠ করেছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মণিরামপুরজুড়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে সংখ্যালঘু পরিবারগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা। তবে বিএনপি-জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা সহিংসতা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। সহিংসতা থামাতে মণিরামপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ ইকবাল হোসেনের পক্ষে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। মণিরামপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘বিএনপির দায়িত্বশীল কেউ হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নেই। পরিবেশ শান্ত রাখতে আমরা কাজ করছি। জামায়াত ইসলামের মণিরামপুর উপজেলা শাখার আমির লেয়াকত হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় উপজেলায় আমাদের দুটি টিম কাজ করে যাচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify"><strong>নিয়ামতপুরে বাড়ি ভাঙচুর, মাছ লুট</strong></p> <p style="text-align:justify">নওগাঁর নিয়ামতপুরে হান্নানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাড়ির পুকুর থেকে কয়েক লাখ টাকার মাছও লুট করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হান্নানের ঘরে থাকা এক লাখ টাকা ও কিছু সোনার অলংকারও লুট হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>ভেদরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা</strong></p> <p style="text-align:justify">শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে  মো. ফারুক মোল্লা  (৪৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কুপিয়ে আহত করা হয় তাঁর ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লাকেও (৩৫)। আগুন দেওয়া হয় ১৫টি বসতঘরে। বুধবার রাতে উপজেলার চর কুমারিয়া ইউনিয়নের গনি মোল্লা কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>(কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিরা এ প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন)</strong></p>