<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হাসিনা সরকার পতনের পর থানা থেকে লুট হওয়া পাঁচ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্তত তিন লাখ গুলি গত দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি। এগুলো নিকটস্থ থানায় জমা দিতে সরকার বারবার আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্ধার না হওয়া এসব অস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে আগে থেকেই সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা দেশের বিভিন্ন থানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট হওয়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী যৌথ অভিযান চলছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকের পর  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যারা অস্ত্র জমা দেবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">  এর আগে ১২ আগস্ট থেকে পুলিশ সদর দপ্তর একাধিকবার অস্ত্র ও গুলি জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। ৩ সেপ্টেম্বর রাত পর্যন্ত এগুলো জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, বিভিন্ন থানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার ৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় লাখ ছয় হাজার ৭৪২টি গুলি লুট হয়েছে। দেশে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত লুট হওয়া ২৪৩টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১০ জনকে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রিভলবার ১৩টি, পিস্তল ৬৭টি, রাইফেল ১৪টি, শটগান ৩১টি, পাইপগান ছয়টি, শ্যুটারগান ২৪টি, এলজি ২৫টি, বন্দুক ৩৯টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান দুটি, এয়ারগান পাঁচটি, এসবিবিএল সাতটি, এসএমজি পাঁচটি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার দুটি ও দুটি থ্রি-কোয়াটার। অর্থাৎ পাঁচ হাজার ৫৮৬টি অস্ত্র এবং বেশির ভাগ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। পুলিশের তথ্য মতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গত ৫ ও ৬ আগস্ট পিস্তল, রিভলভার, শটগানসহ ১১ ধরনের পাঁচ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর বেশির ভাগই পুলিশের। এ ছাড়া কারাগারের অস্ত্রও রয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের ৬৪ জেলার থানাগুলোতে ১৫ বছরে নেওয়া ১০ হাজার ৮৪৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৯ হাজার ১৯১টি জমা পড়ে। এক হাজার ৬৫৪টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এই অস্ত্রগুলোই এখন উদ্ধারে অভিযান চলছে।  </span></span></span></span></span></p> <p> </p>