<p style="text-align:justify">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসি মোড়ে অবস্থান করেন।</p> <p style="text-align:justify">সরেজমিন দেখা যায়, ছাত্রলীগের একাধিক দল মিছিল নিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের পর থেকে টিএসসি মোড়ে হাজির হতে থাকে। এ সময় তাদের মাথায় ছিল হেলমেট এবং হাতে ছিল লাঠি। ছাত্রলীগের খণ্ড খণ্ড মিছিল হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ভাস্কর্য সামনে অবস্থান নিচ্ছেন। অনেক ছাত্রলীগ নেতা লাঠি হাতে রাজু ভাস্কর্য সামনে রাস্তায় বসে পড়েন।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে গতকাল সোমবার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার পর আজ রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। সোমবার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে গতকাল সোমবার কোটাবিরোধীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন। তবে তাদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলাদা অনুষ্ঠানে তাদের স্লোগানের ভাষার তীব্র সমালোচনা করেন।</p> <p style="text-align:justify">এরপর দুপুর ২টার দিকে ছাত্রলীগ বিজয় ৭১ হলসহ বিভিন্ন হলে আন্দোলনকারীদের বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এর পর থেকে গোটা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪টার পর থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ৫০০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর জানান আন্দোলনকারীরা।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আর হলের প্রভোস্টরা শিক্ষার্থীদের হলে ফেরার আহ্বান জানান। তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে রাতভর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাবি শাখা, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং অন্যান্য ইউনিটের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করেন। রাত ২টার পর থেকে ওই এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংখ্যা কমতে থাকে। সবশেষ, ভোর ৪টায় মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসি এলাকা ত্যাগ করলে ওই এলাকা পুরোপুরি খালি হয়ে যায়।</p>