<p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রয়াত সভাপতি হেনা দাসের ‘চার পুরুষের কহিনী’ প্রবন্ধের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম ও মুনিরা খান মিলনায়তনে হেনা দাসের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রীনা আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ খালিদ, শান্তি ও সংঘর্ষ শিক্ষার্থী সামিরা রহমান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফারাব আল রহমান ভূইয়া, আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার অর্চি হক এবং প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের গবেষণা ও পাঠাগার উপপরিষদ সদস্য হালিমা তুস সাদিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, একজন প্রগতিশীল, কুসংস্কারমুক্ত, অসামপ্রদায়িক, সহনশীল এবং নবজাগরণে বিশ্বাসী ছিলেন হেনা দাস। হেনা দাসের সময়ে মেয়েদের জন্য স্বাধীন ও স্বতন্ত্র পরিবেশ কমই ছিল। তিনি স্বার্থহীনভাবে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে তাদের জীবনধারা বোঝার চেষ্টা করেছেন, তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন। তার লেখায় তত্কালীন সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক দিক সহ সকল দিক উপস্থপিত হয়েছে সুস্পষ্টভাবে। বইটিতে ভারতীয় উপমহাদেশের ঊনবিংশ সময়ের পারিবারিক, সামাজিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের চিত্র হেনা দাস উপস্থাপন করেছেন অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে।<br />  <br /> সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, হেনা দাসের জন্মের একশত বছরে এসে যা কিছু উপলব্ধী তা বর্তমান সময়ের সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ আমাদের সেটি পর্যালোচনা করতে হবে। তারা যে সময়টাকে ধারণ করেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একইসঙ্গে বর্তমান সময়ে হেনাদাসের জীবনী তরুণ প্রজন্মের জন্য কি শিক্ষা দিবে সেটিও ভাবতে হবে।</p>