<p style="text-align:justify">আজ ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। পুরুষের প্রতি বৈষম্য বিলোপ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘ইতিবাচক পুরুষ রোল মডেল’। পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনাকে উৎসাহিত করা এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরির গুরুত্বকে তুলে ধরতেই এই প্রয়াস। </p> <p style="text-align:justify">ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয় ১৯৯২ সালে বিশ্ব পুরুষ দিবস পালনের ধারণাটি সামনে নিয়ে আসেন। তার উদ্দেশ্য ছিল পুরুষদের কৃতিত্ব এবং প্রতিভাকে সম্মান জানানো এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, পুরুষ স্বাস্থ্য, এবং ইতিবাচক পুরুষ রোল মডেলের মূল্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। দিন দিন বিশ্বব্যাপী দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।</p> <p style="text-align:justify">আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।  নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।</p>