<p>ট্রাফিক, সুপারশপ, সিডি-ডিভিডি প্লেয়ারসহ নানান জায়গায় লেজারের দেখা মেলে। চিকিৎসায় লেজার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। দৃশ্যমান আলোর একটা শক্তিশালী রূপ হলো লেজার।</p> <p>লেজার শব্দটি 'লাইট অ্যামপ্লিফিকেশান বাই স্টিমুলেটেড এমিশন অব রেডিয়েশন'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। আশ্চর্য হলেও সত্য— লেজার কাজ করে কোয়ান্টাম তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ২" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731837830-a55c702e695630f5ec3a40d1266280bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447638" target="_blank"> </a></div> </div> <p>লেজার তৈরির ধারণা প্রথম দিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। ১৯১৭ সালে। আলো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি কিছু ঘটনা লক্ষ্য করেন। ফোটন যদি পরমাণুর ইলেকট্রনের ওপর এসে পড়ে, ইলেকট্রন সেটাকে শোষণ করে উত্তেজিত হয়। উত্তেজিত হয়ে ইলেকট্রনটি তাঁর  মূল শক্তিস্তর থেকে উচ্চতর শক্তিস্তরে চলে যায়।</p> <p>কিন্তু ফোটন যদি কোনো উচ্চ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের ওপর পড়ে, তখন উচ্চ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন তার অতিরিক্ত শক্তি ত্যাগ করে নিজের মূল শক্তিস্তরে ফিরে আসে। এই শক্তিস্তর পরিবর্তনের সময় যে শক্তি ত্যাগ করবে, সেই শক্তি যে ফোটনটি ধাক্কা দিয়েছিল সেই ফোটনের শক্তির সমান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731829417-c2a15ba3076e30820b84324cb9754ce5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447600" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এক্ষেত্রে একই শক্তির দুটি ফোটন একই দিকে একইভাবে ছুটে যাবে। এই দুটি ফোটন যদি আবার দুটি উত্তেজিত ইলেকট্রনকে ধাক্কা দেয়, আরো দুটি সমান শক্তির ফোটন পাওয়া যাবে। মোট ফোটন হবে চারটি।  </p> <p>এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে চারটি থেকে আটটি, আটটি থেকে ষোলটি, ষোলটি থেকে বত্রিশটি— এভাবে কোটি কোটি একই শক্তির ফোটনের স্রোত তৈরি হবে। এই ফোটনগুলির প্রত্যেকটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সমান। ফলে এদের সম্মিলিত প্রাবল্য হবে সাধারণ আলোর চেয়ে অনেক বেশি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731576346-b16cb83476a2be92c3916d95af642500.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/14/1446552" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আইনস্টাইনের এই তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রথম শক্তিশালী দৃশ্যমান আলো তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী থিওডর হ্যারোল্ড ম্যাইম্যান। শুরুতে এর নাম ছিল ‘অপটিক্যাল মেজার’। পরে নাম দেওয়া হয় লেজার।</p> <p>লেজার চমৎকার একটি আলোর উৎস। এর ভেতর অনেকগুলো পরমাণু থাকে। সবগুলো পরমাণু থেকে আলোক তরঙ্গ বিকিরিত হয়ে রশ্মিগুচ্ছ আকারে নির্গত হয়। প্রতিটি রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সমান। ফলে রং একই থাকে। দিকও থাকে নির্দিষ্ট।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731576346-b16cb83476a2be92c3916d95af642500.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/14/1446552" target="_blank"> </a></div> </div> <p>'অস্টিন পাওয়ারস' নামের একটা টিভি সিরিজে 'ডক্টর এভিল' নামের একটি চরিত্র ছিল। তিনি একটা শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করতেন। যা কোথাও তাক করলে জায়গাটি পুড়ে যেত। এটা সম্ভব, যদি লেজার অবলোহিত তরঙ্গের আলো নির্গত করে।</p> <p>কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে এমন লেজার বানানো যায়। তবে বর্তমানে যেসব লেজার বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, তা মূলত শক্তিশালী সেমিকনডাক্টর দিয়ে তৈরি। যাকে বলে ডায়োড লেজার। ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও যোগাযোগে এগুলো ব্যবহৃত হয়। যা সাধারণত লাল আলো নির্গত করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কিউবিট আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731499956-876e07737b908adf2ceab917dec28df4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কিউবিট আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/13/1446224" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টা<br /> বামারের বর্ণালি<br /> বোরের পরমাণু</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>রিচার্ড গর্ডন গোল্ড</strong><br /> ১৯২০-২০০৫<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, 'LASER' নামকরণ করেছেন, যা 'লাইট অ্যামপ্লিফিকেশান বাই স্টিমুলেটেড এমিশন অব রেডিয়েশন'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।</p> <p><strong>থিওডর হ্যারোল্ড ম্যাইম্যান</strong><br /> ১৯২৭-২০০৭<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, গর্ডন গোল্ডের কিছুটা সহায়তা নিয়ে প্রথম দৃশ্যমান আলোর লেজার উদ্ভাবন করেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> সোফি হিবদিন<br />  </p>