<p>নৃত্যাঞ্চলের প্রাণপুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের জন্মদিন পালন করেছে নাচের দল নৃত্যাঞ্চল। পাশাপাশি ‘নৃত্যাঞ্চল পদক-২০২৪’-এর ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ৪ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p> অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যাঞ্চলের সব কলাকুশলী মঞ্চে উঠে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নৃত্যাঞ্চল নিয়ে ভাবনা তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত এবং নৃত্যাঞ্চলের সব কর্ম ও সৃজনে তাকে স্মরণ করার দৃঢ় শপথ নেন। এরপর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কর্মময় জীবনের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তার কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করেন বড় ভাই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়য়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, বরেণ্য নৃত্যশিল্পী কাজল ইব্রাহিম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যসহ অনেক গুণগ্রাহী</p> <p>এরপর ২০২২ সালের পদক প্রদান ও লোকনৃত্য উৎসবের কিছু অংশ দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। এরপর বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির ধামাইল গান ও নৃত্যের বিশিষ্ট গুণীজন ব্যক্তি হিসেবে শ্রীমতী কুমকুম রাণী চন্দকে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক-২০২৪’ ভূষিত করে তার নাম ঘোষণা করা হয়। ‘নৃত্যাঞ্চল পদক-২০২৪-এ ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী মিসেস রেহানা আক্তার ঝর্ণ। এরপর নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ধামাইল নৃত্য। নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্বপ্ন দেখতেন নৃত্যাঞ্চল এ দেশের মৌলিক ও স্বয়ংক্রিয় ধারার নৃত্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় নৃত্যাঞ্চল দুই বছর অন্তর লোকনৃত্য উৎসবের আয়োজন করে আসছে।</p> <p>অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তিন দিনব্যাপী লোকনৃত্য উৎসব ‘শিকড়ের সন্ধানে বাংলার লোকনৃত্য’ আয়োজনের মাধ্যমে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক-২০২৪ শ্রীমতী কুমকুম রানী চন্দকে প্রদান করা হবে। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নীপা।</p>