<p>আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে মিনিস্ট্রি অফ লাভ-এর দ্বিতীয় সিনেমা ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। এটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন প্রীতম হাসান ও তাসনিয়া ফারিণ।  ইতোমধ্যেই ছবিটির গান ও ট্রেলার উন্মুক্ত করা হয়েছে।</p> <p>‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র বড় অংশের শুটিং হয়েছে রাজশাহীতে আর বাকি শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। শুটের সুবাদেই অভিনেতা ও কলাকুশলীসহ বড় একটা টিম গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে যেতে গিয়ে সবাই ভিসা পেয়েছিল ঠিকঠাক। তবে বিড়ম্বনায় পরেন তাসনিয়া ফারিণ।</p> <p>কারণ হিসেবে পরিচালক বলেন, ‘আমরা সবাই ঝামেলা ছাড়াই ভিসা পেলাম। কিন্তু ফারিণের জন্য আমাদের শুটিং পেছাতে হলো। কেননা ফারিণের ফেসবুকে নাম ছিল তাসনিয়া ফারিণ আর তার পাসপোর্টে নাম ছিল ভিন্ন। সে জন্য প্রথমে রিজেক্ট হয়েছিল তার ভিসা। অবশ্য পরবর্তীতে সে সমস্যার সমাধান হয়। ফারিণ অস্ট্রেলিয়া যান। ভালোভাবে শুটিং শেষ করেন।’</p> <p>রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ সব জায়গা পেয়েছেন বলে জানান পরিচালক শিহাব শাহীন। পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সিনেমার গল্পটাই এমন যে, মফস্বল থেকে একদম শহর পর্যন্ত চলবে প্রেমের কাহিনী। সেই সঙ্গে এই দুই জায়গাতেই সবার এতো এতো হেল্প পেয়েছি তাতে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়েছে।’</p> <p>সিনেমাটির শুটিং করতে গিয়ে নানারকম চমকপ্রদ কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গল্পে গল্পে ফারিণ-প্রীতম বলছিলেন, তারা নাকি পরিচালককে ‘শিহাব আব্বা’ বলে ডাকতেন। কারণ পুরো শ্যুটিং-এ পরিচালক শিহাব শাহীন নাকি বাবাদের মতো আচরণ করেছে মানে বাবাদের মতো শাসন করেছেন। অস্ট্রেলিয়াতে শ্যুট শেষ করে যখন সবাই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতো পরিচালক সাহেব তখন বসে থাকতেন ঘরে। আর সবাইকে ফোন দিয়ে- ‘কখন ফিরবা?’, ‘বাইরে কিছু খেয়ো না’, ‘তাড়াতাড়ি বাসায় আসো’—এরকম নানান কথা বলতে থাকতেন।</p> <p>এছাড়া অট্রেলিয়াতে শ্যুট শেষ করে প্রীতম একদিন একা একা স্কুটি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। স্কুটিতে নিয়ে যেতে যেতে তিনি এম-টু হাইওয়ে নামে একটা এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠে গেছিলেন। সে সময়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে প্রীতম বলেন, ‘আমি যখন ওই রাস্তায় উঠছি তখন বুঝি নাই যে এটা এতো বড় হাইওয়ে রাস্তা। সেখানে সর্বনিম্ন গাড়ি চালানোর স্পিড ছিল ১০০ কিমি। আর আমি স্কুটি চালাচ্ছিলাম ৬০-৮০ স্পিডের মধ্যে। আমার পাশ দিয়ে সব সাই সাই করে সব গাড়ি চলে। আমি সেদিন কি যে ভয় পাইছিলাম বলে বোঝানোর মতো না।’</p> <p>গল্পটির জন্য ফারিণ এবং প্রীতমকেই কেন বেছে নিলেন, এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, ‘গল্পের চরিত্রের জন্য আমার যে ধরণের লুক প্রয়োজন ছিল সেটা তাদের দুজনের মধ্যেই পারফেক্টলি পেয়েছি। এখানে প্রীতমকে দেখা যাবে একজন রুয়েট ছাত্র হিসেবে যে কিনা একটা ট্রমাটিক ও হার্ডশিপ চাইল্ডহুড নিয়ে বড় হয়। এই চরিত্রটির জন্য একদম তার মতোই কাউকে দরকার ছিল আমার। যেরকমটা চেয়েছি ঠিক তাই পেয়েছি ওর কাছ থেকে। খুবই ভালো করেছে সে। এই সিনেমাটির মধ্য দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি একটা নতুন অভিনেতাকে পাবে। কাজটি দেখার পরই দর্শকরা সেটা বুঝতে পারবে। আর ফারিণ তো পরীক্ষিত।’</p> <p>প্রীতম-ফারিণ ছাড়াও এই সিনেমায় দেখা যাবে নতুন মুখ রূপন্তী আকিদ-এর। এছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন সমাপ্তি মাশুক, খলিলুর রহমান কাদেরী, শিরিন আলম, শুভজিৎ ভৌমিক, ও শাহীন শাহনেওয়াজ প্রমুখ।</p>