<p style="text-align:justify">সাভারের পুলিশ টাউন এলাকা থেকে ডিজিএফআইয়ের চারজন ভুয়া সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ টাউন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। </p> <p style="text-align:justify">আটকরা হলেন- গোপালগঞ্জের নিতাই মন্ডলের ছেলে হাবিব (৫০), যশোরের মৃত সামাদ বিশ্বাসের ছেলে ভুয়া ডিজিএফআইয়ের ক্যাপ্টেন মিজান (৫৫), মিরপুর কালাপানি এলাকার মৃত জমির আলীর ছেলে ড্রাইভার মো. নাছির (৩৫) ও নড়াইল সদর এলাকার শাকিল শিকদারের ছেলে ও আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার রিপোর্টার কাদের সিকদার (৪২)। এ ঘটনায় তাদের দলনায়ক ইয়াজ উদ্দিন মন্টু ও তার সহযোগী মানিক পলাতক রয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ডিজিএফআইয়ের ক্যাপ্টেন মিজান পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ১ লাখ টাকা চায় আটকরা। আমি বলেছি আমার কাছে এতো টাকা নাই, ১০ হাজার টাকা আছে। পরে ২০ হাজার টাকা চাইলে আমি ১০ হাজার টাকা দিছি। বাকি টাকা ৭ দিন পরে দিতে বলেন।</p> <p style="text-align:justify">শামীম নামের অপর ভুক্তভোগী অটোরিকশার গ্যারেজ মালিক বলেন, আটকরা ডিজিএফআইয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে অবৈধ অটোরিকশা কেন চালাই-এজন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে না চাইলে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবো। </p> <p style="text-align:justify">সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ফারুক হোসেন পারভেজ বলেন, তারা ফোন করে বলেন- ঢাকা হেডকোয়ার্টাস থেকে ডিজিএফআইয়ের অফিসার বলছি, আপনাদের জমি নিয়ে ঝামেলা আছে। সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে। আপনারা আসেন, কাগজপত্র নিয়ে বসেন কাগজপত্রগুলো শর্ট আউট করে দিচ্ছি। আজকে সকালে ফোন করে আমাদের জমিতে গেছে। নগদ ১ লাখ টাকা চাইছে এবং আমার বাবাকে বলছে ৭ দিনের টাইম দিলাম। এর মধ্যে আমাদের সঙ্গে মিট না করলে আপনাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। </p> <p style="text-align:justify">সাভার চামড়া শিল্প নগরী ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেয়ার সময় ভুক্তভোগী জনতা, পুলিশ ও ডিজিএফআই সদস্যদের সহযোগিতায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভুয়া পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। </p>