<p style="text-align:justify">তিন মাস ধরে আটকে থাকা এনটিসির চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন ও চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের লাক্কাতুরা রেস্ট ক্যাম্প বাজার থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে বিমানবন্দর সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেস্ট ক্যাম্প বাজারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়। চা শ্রমিক নেতা বচন কালোয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চা বাগান শিক্ষা অধিকার পরিষদের সভাপতি অধীর বাউরী, লাক্কাতুরা চা বাগানের আমিরন গোয়ালা যোগেশ ব্যক্তি প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-অবিলম্বে এনটিসি’র চা বাগানের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা ও বন্ধ সকল চা বাগান চালু করা, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা, চা-শ্রমিক স্বার্থ বিরোধ ‘গেজেট-২০২’সহ শ্রম আইনের সকল বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল করা, চা-বাগানে বিভিন্ন প্রজেক্ট চালুর পাঁয়তারা বন্ধ করা ও ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা এবং অবিলম্বে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দেওয়া।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত তিন মাস ধরে ন্যাশনাল টি কম্পানী লিমিটেডের (এনটিসি) চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন না। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এনটিসির চেয়ারম্যান ও শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেনসহ ৭ পরিচালক দায়িত্ব সরে দাঁড়ান। সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে শেখ কবির হোসেন প্রায় ২৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, লুটপাটের ব্যাপক অভিযোগ আছে। তাদের কুকর্মের ফলে আজ চা শ্রমিকরা সমস্যায় পড়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">বক্তারা আরো বলেন, সরকার পতনের পর আটকে যায় ব্যাংক লোন। এতে বন্ধ হয়ে যায় শ্রমিকদের তলব (মজুরি) ও রেশন। এতদিন ধরে সমস্যার কোন সুরাহা না হওয়ায় শ্রমিক পরিবারগুলোর জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।</p> <p style="text-align:justify">তারা অবিলম্বে এনটিসির চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদানে তাগাদ দিয়ে বলেন, প্রায় দেড় বছরের পিএফ-এর টাকা বকেয়া পড়ে আছে শ্রমিকদের। বন্ধ হওয়ার উপক্রম প্রায় ৪০টি চা বাগানের। এ অবস্থায় অগণতান্ত্রিক পন্থায় প্রণীত গেজেট বাতিলসহ ৫দফা দাবি তুলে ধরের বক্তারা।</p>