<p style="text-align:justify">সাবেক হুইপ সামশুল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মামলা অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন মোমেন হোসেন জয় নামে এক ব্যবসায়ী।</p> <p style="text-align:justify">মামলা দায়েরের বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ।</p> <p style="text-align:justify">মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়ের আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুচ ছালাম, মুজিবর রহমান, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও কুমিল্লার সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ চট্টগ্রাম মহানগর ,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে মোমেন হোসেন জয় উল্লেখ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মামলার বাদী ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ছিলেন। তিনি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ৪ আগস্ট আসামিরা সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থী ও জনতাকে অস্ত্র, লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করে। এছাড়া অশ্লীলভাবে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে হেনস্তা করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। আসামিদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার সময় ঘটনাস্থল এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও প্রকাশ্য জনসম্মুখে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। এতে অনেক আন্দোলনকারী হতাহত হয়।</p>