<p>ঢাকার কেরানীগঞ্জে আগানগর বড় মসজিদের ৩০ শতাংশ জমি দখলচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর আগানগর এলাকায় মসজিদের প্রধান ফটকের সামনে এলাকাবাসীর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকাবাসীর পক্ষে সাইদুল হক সাঈদ। তিনি বলেন, উক্ত নালিশি সম্পত্তি অমিতাব চৌধুরীর নামে রেকর্ড হয়। কিন্তু তার আরো দুটি ভাই রয়েছে তাদের নামে রেকর্ড না হলে অমিতাব চৌধুরী দুই ভাইয়ের কাছ থেকে আম মোক্তায় মালিক হয়ে ১৯৮৬ সালে জনৈক  নুরুল ইসলামের কাছে ৭২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করে। নুরুল ইসলাম সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে মালিক হয়ে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ জমি আগানগর বড় মসজিদের নামে ওয়াকফা করে দেন। মসজিদ কমিটি জমিটি মসজিদের নামে নামজারি করে হাল নাগাদ খাজনা পর্যন্ত পরিশোধ করেন।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেবাশীষ একটি ভুয়া সলেনামা করে আদালতে সাবমিট করে। আদালত সলেনামার প্রেক্ষিতে তার পক্ষে একটি রায় দেয়। সেই বানানো রায় নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০২২ সালে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।</p> <p>প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন অভিযোগকারীরা জমির মালিক না হয়েও নিজেরা নিজেরা মামলার বাদী-বিবাদী হয়ে সোলেনামা মুলে আদালত থেকে রায় নিয়েছেন। জমিতে দেবাশীষ চৌধুরী গংদের দখল নেই। প্রতারণা করে তারা মসজিদের মুতাওয়াল্লিকে পক্ষ না করে নিজেরা পক্ষ হয়েছেন। দেবাশীষের পক্ষে আদালত যে রায় দিয়েছেন মসজিদ কমিটি পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে আপিল মামলা করেছে। আইনিভাবে সুবিধা করতে না পেরে দেবাশীষ গংরা মাস্তান ও সন্ত্রাসী দিয়ে মসজিদের মুতাওয়াল্লি মসজিদ কমিটির লোকজনকে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে দেবাশীষ চৌধুরী ৩০ শতাংশ জমি নিজের দাবি করে তা দখলের পাঁয়তারা করছে।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমানুল্লাহ আমান, আসরুল হাসান আশু, আব্দুস সাত্তার, আলতাব হোসেন, সেলিম হোসেন, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ নূরে আলম, ঈমান উল্লাহ মাস্তানসহ শতাধিক মুসল্লি। </p>