<p>‘হামার ছল সোহাগ হামার ঘেরক পাললো হয়, সব কিছুই করলো হয়, দেখশুন করলো হয়। পৃথিবীর বুকে ওতো এখন নাই, হামাক এখন দেখশুন করবি কে?’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সোহাগের মা ছালমা বেগম।</p> <p>সোহাগ উত্তর বাড্ডায় একটি রঙের কারখানায় কাজ করতেন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের বড় পাহাড়পুর গ্রামের রেজাউল মিয়া ও মা ছালমা বেগমের ছেলে। তারা সবাই ঢাকার উত্তর বাড্ডায় বসবাস করতেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বরিশালে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/01/1730445833-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বরিশালে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/01/1441503" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নিহত সোহাগের মা ছালমা বেগম আরো বলেন, ‘আমরা খুব অসহায়, কোনো কাজ-বাজ করতে পারি না। সব সময় ছেলেরই ধান্ধা আসে। এখনো মানুষ যতুটুকু সহযোগিতা দিচ্ছে সেটুকু দিয়েই কোনো রকমে চলছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ বান্ডিল ঢেউটিন, ১২ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবার দিয়েছে। এ ছাড়া আর কিছুই পাইনি।’</p> <p>বাবা-মাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল নিহত সোহাগের (১৮)। মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সোহাগ। ছেলের গুলি লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রিকশাচালক বাবা রেজাউল ইসলাম। রাজধানীর এমজিএস হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ খুঁজতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালের মেঝেতে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা অনেকগুলো লাশের মাঝে ছেলে সোহাগের পরনে থাকা পাঞ্জারির একটি অংশ চোখে পড়ে পরে সেখান থেকেই ছেলের লাশ রিকশায় তুলে বাসায় নিয়ে আসেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্রামে প্রবেশের রাস্তা নেই, সন্তানের বিয়ে দেওয়া নিয়ে বিপাকে ৫০ পরিবার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/01/1730445146-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্রামে প্রবেশের রাস্তা নেই, সন্তানের বিয়ে দেওয়া নিয়ে বিপাকে ৫০ পরিবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/01/1441500" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর সেখান থেকে ছেলের লাশ অর্থের অভাবে বাড়িতে আনতে পারছিলেন না সোহাগের বাবা রেজাউল মিয়া। পরে রিকশা গ্যারেজের সহকর্মীরাসহ স্থানীয়রা চাঁদা উত্তোলন করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিজ গ্রাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়পাহাড়পুর গ্রামে নিয়ে আসেন। নিজস্ব জায়গা না থাকায় অন্যের জায়গায় ছেলের লাশ দাফন করেন তিনি।</p> <p>সোহাগের বাবা রেজাউল মিয়া বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। গত ১৯ জুলাই আমার ছেলে সোহাগ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সেদিনই তাকে নিয়ে এসেছি। জমিজমা না থাকায় অন্যের জমিতে ছেলের লাশ দাফন করি। সোহাগই আমার সংসারের সব কিছু ছিল। বড় ছেলে বিয়ে করে সংসার করছে। এখন কে আমাদের দেখবে?’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে গেল নারী আসামি, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/01/1730443230-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে গেল নারী আসামি, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/01/1441495" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত (১৯ জুলাই) শুক্রবার দুপুরে নামাজের পর পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় উত্তর বাড্ডার ভাড়া বাসা থেকে অসুস্থ মা ছালমা বেগমের ওষুধ কিনতে বের হয়েছিল সোহাগ। বাঁশতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ডাকা কর্মসূচিতে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে পড়েন তিনি। গুলিতে আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখতে পান ছেলের লাশ।</p>