<p style="text-align:justify">উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতেই রেলস্টেশনের মসজিদের দেয়াল ভাঙতে গিয়ে ধাওয়া খেয়েছেন রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষাবধি বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করা রেলস্টেশনের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতেই সমাপ্তি ঘটে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729494588-91293e122223f0c091e4ed4e50bfc7a2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437498" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলের চিহ্ণিত ও প্রভাবশালী দখলদারদের উচ্ছেদ না করে শুরুতেই মসজিদের দেয়াল ভাঙর ঘটনা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এ ছাড়া মসজিদের যে জায়গাটিতে ভাঙা শুরু হয়েছিল সেখানে এর আগেই ভাঙা ছিল। সেখানে কোনো দখলদারও ছিল না। <br />    <br /> রেল সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১১টা থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এলাকায় এবং অন্যত্র রেলের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পূর্ব ঘোষণা ছিল। এ জন্য ঢাকা থেকে রেলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও ময়মনসিংহে আসেন। রহস্যময় কারণে তারা অভিযান শুরু করেন প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা পর। </p> <p style="text-align:justify">এর আগে স্টেশনের সামনে একটি এক্সকাভেটর ছিল। কর্মকর্তারা বের হয়েই রেলস্টেশনের জামে মসজিদের পশ্চিম দিকের ফটকের পাশে মিনারের নিচের দিকের দেয়ালে ভাঙা শুরু করেন। ওই স্থানটি এর আগের উচ্ছেদ অভিযানের সময় ভাঙা ছিল। সেখানে কোনো দখলদারও ছিল না। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মসজিদের লোকজনসহ এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লোকজন এক্সকাভেটরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। এক্সকাভেটরের চালক দৌড়ে চলে যান। ঢাকা থেকে আসা কর্মকর্তারা ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থলের পশ্চিম দিকে মালগুদাম এলাকার দিকে চলে যান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শাহবাগে আবারও জড়ো হতে শুরু করেছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729494797-059097a1fc66f69f8914f0bbd41468ab.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শাহবাগে আবারও জড়ো হতে শুরু করেছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/21/1437499" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ কারণে উচ্ছেদ অভিযান একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এর পরও স্টেশন চত্বর এলাকায় উত্তেজনা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রেলের কর্মকর্তারাও উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। </p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে রেলস্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম রফিকুল আলম বলেন, প্রভাবশালীদের উচ্ছেদ না করে কর্মকর্তারা শুরুতেই মসজিদ ভাঙতে এসেছেন। এ কারণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এদিকে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য রেল বিভাগের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাদের ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি।</p>