<p>তুর্কির ইসলামী ব্যক্তিত্ব ফেতুল্লাহ গুলেন আর নেই। রবিবার (২০ অক্টোবর) ৮৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তুর্কি গণমাধ্যম ও গুলেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি ওয়েবসাইট এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।</p> <p>মার্কিনভিত্তিক ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেন তুরস্ক এবং তার বাইরে একটি শক্তিশালী ইসলামী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য তুর্কির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান তাকে দায়ী করেন। তবে গুলেন এরদোয়ান সরকারের ওই অভিযোগকে বরাবরই অস্বীকার করে গেছেন। অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগের পরবর্তী বছরগুলো তার দেশের বাইরে কেটেছে।</p> <p>গুলেনের বক্তৃতা প্রচার করে, এমন একটি ওয়েবসাইট হারকুল তার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছে, গুলেন রবিবার সন্ধ্যায় মার্কিন হাসপাতালে মারা গেছেন, যেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।</p> <p>গুলেন এরদোয়ানের এক সময়ের মিত্র ছিলেন কিন্তু এক পর্যায়ে বিস্ময়করভাবে তারা পৃথক হয়ে পড়েন। এরদোয়ান তাকে ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের চেষ্টার জন্য দায়ী করেন, যেখানে বিদ্রোহী সেনারা যুদ্ধবিমান, ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতা দখলে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রায় ২৫০ জন তুর্কির জীবনের বিনিময়ে ওই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।</p> <p>গুলেন ১৯৯৯ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। তবে তিনি বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করে গেছেন। তার অনুসারীদের মতে, গুলেনের আন্দোলন ‘হিজমেট’ নামে পরিচিত যার অর্থ তুর্কি ভাষায় ‘সেবা’। যা পশ্চিমা-শৈলীর শিক্ষা, মুক্তবাজার এবং আন্ত ধর্মীয় যোগাযোগের প্রচার করে। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে তার আন্দোলন তুরস্কে পরিকল্পিতভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>