<p style="text-align:justify">এশিয়ান ফুটবল কনফিডারেশন (এএফসি) অনূর্ধ্ব ১৭ এশিয়ান কাপ ২০২৫ খেলতে কম্বোডিয়া পাড়ি জমিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের কৃতি সন্তান তাসিন। গ্রুপ পর্বে কম্বোডিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দল। </p> <p style="text-align:justify">দলটি আগামী ১৯ অক্টোবর প্রথমবারের মতো স্বাগতিক কম্বোডিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হবে। ওই খেলায় গোলরক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন কালীগঞ্জের কৃতি সন্তান তাসিন। সুঠাম দেহের অধিকারী এবং ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তিনি নিজ যোগ্যতাই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে নিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">তাসিন কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার হেলাই গ্রামের প্রবাসী হুর আলীর ছেলে। মাত্র ৪ বছরে মাকে হারিয়ে চাচা-চাচির পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজেকে বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে প্রবাসী বাবা ও চাচা মোবাশ্বের হোসেনের সহযোগিতায় নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুল মাঠে শুরু করেন ফুটবল খেলা।</p> <p style="text-align:justify">ফুটবলের প্রতি একাগ্রতা দেখে প্রবাসী পিতা তাকে ভর্তি করেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। নিজের খেলোয়াড়ি জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। তার পরিশ্রমের ফসল হিসেবে তিনি এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে নিজ গ্রাম তথা কালীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান তাসিনের এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কাপে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তার এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত। তাসিনের নিজ গ্রামের আরেক কৃতি সন্তান এবং ঢাকার পিডাব্লিউডি স্পোর্টিং ক্লাবের কৃতি ফুটবলার নাদিম সুলতান মুন্না বলেন, ‘তাসিন অনেক ছোটো থেকেই পরিশ্রমী। অনেক কষ্ট করে তাসিন বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। আমার গ্রামের ছোট ভাই হিসেবে ওর জন্য শুভকামনা রইল। সে যেন সামনে আরো ভালো কিছু করতে পারে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’</p> <p style="text-align:justify">তাসিনের বাবা মালয়েশিয়াপ্রবাসী হুর আলী মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপাগল। তার ধ্যানজ্ঞান সবই ফুটবলকেন্দ্রিক। আমি প্রবাসে থাকলেও তার খেলাধুলার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখি। তা ছাড়া দেশে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে আমার ভাই মোবাশ্বের হোসেন গ্রামের ফুটবলার এবং ফুটবলের অন্যতম সংগঠক সবুর হোসেন এবং মুন্না। সে কম্বোডিয়ায় খেলতে যাওয়ায় আমিসহ গ্রামবাসী অত্যন্ত খুশি। আপনারা দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য, সে যেন তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বিজয় অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।’</p> <p style="text-align:justify">ফুটবলার তাসিনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচসহ আমরা শিরোপা জিততে চাই। আমার ও আমার দলের জন্য সবাই দোয়া করবেন। ভবিষ্যতে আমি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন।’</p>