<p>ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স বিবেচনা করেই জাতীয় দল নির্বাচন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে চায় বিসিবি। আগামীকাল ২৬তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে আজ এমনটিই জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।</p> <p>দল নির্বাচনের বিষয়ে ঘরোয়া পারফরম্যান্সই একমাত্র বেঞ্চমার্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন নাজমুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই হওয়া উচিত (পারফরম্যান্স কাউন্ট)। ওটাকে যদি আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসতে পারি, ওটাই হওয়া উচিত আমাদের বেঞ্চ মার্ক। হয় না অনেক সময়, আমরা হয়তো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫০ ওভারের খেলা দেখে চার দিনের প্লেয়ার সিলেক্ট করে ফেলি, আমাদের বেঞ্চমার্ক কিন্তু হওয়া উচিত ওটাই। যেকোনো সংস্করণের জন্য ফরম্যাট হওয়া উচিত ওটাই।’</p> <p>তখন জাতীয় দলের খেলা না থাকলে খেলোয়াড়েরা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে উদ্বুব্ধ হবে। অনেকটা দলে থাকতে বাধ্য হয়েই খেলবে বলে মনে করেন নাজমুল আবেদীন। বিসিবি পরিচালক বলেছেন, ‘না, এটা খুব জরুরি। যারা অ্যাভেইলেবল থাকবে তাদের জন্য শুধু খেলাটাকে কম্পিটিটিভ করার জন্য না, তাদেরও টাচে থাকা দরকার। সে জন্য দরকার এবং খেলাটাকে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য দরকার। ওটাকে যদি আমরা গুরুত্ব দিই, ওটাকে যদি আমরা যদি বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরি সিলেকশনের ব্যাপারে, তখন মনে হয় সবাই কিছুটা হলেও বাধ্য হবে এখানে আসতে।  আমার মনে হয় এই কালচারটা তৈরি করা দরকার না এখানে খেলতেই হবে। আমরা যদি ছাড়া দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে থাকি তাহলে এটা হবে না। এটা এমন না যে সবাইকে খুশি করার বিষয়। কেউ কেউ আনহ্যাপি হতে পারে। কিন্তু একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা দরকার। যেটা সবাই মানতে বাধ্য হবে।’</p> <p>এবারের জাতীয় লিগে মনোবিদের ব্যবস্থাও করেছে বোর্ড এমনটি জানিয়েছেন নাজমুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের একজন মনোবিদ আছেন। যিনি প্রয়োজনে আসেন, এইচপিতে কাজ করেন। তার সঙ্গে নিয়মিত জাতীয় লিগের কোচ-অধিনায়করা বেশ অনেকগুলো সেশন করবে অনলাইনে। ধারণাটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট কিভাবে খেলানো যায়, ওই সংস্কৃতিটা কিভাবে আমরা এখানে ঢোকাতে পারি। আমরা যদি অস্ট্রেলিয়া ধরি বা ইংল্যান্ড, এমনকি ভারতও তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। এখানে যে পরিমাণ গর্বের ব্যাপার আছে। ওই লেভেলের ক্রিকেটে সফল হওয়াটা যে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওই জিনিসটা কিন্তু আমরা এখানে তেমন দেখি না। সেই ব্যাপারগুলো কিভাবে আনা যায় সেটারও একটা চেষ্টা থাকবে।’</p>