<p>শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার তিন মামলায় জামিন না-মঞ্জুর করে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। যশোরের বেনাপোল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে চন্দন কুমার পালকে শেরপুরে নিয়ে আসে সদর থানা পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।</p> <p>পরে উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভূঁইয়া জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে চন্দন কুমার পালকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তারিখ ধার্য করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন নেতাকর্মীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/18/1729233648-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন নেতাকর্মীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/18/1436408" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আদালত সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট বিকেলে শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবুজ মিয়া, সৌরভ ও মাহবুব নামে তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে আটক হন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।</p> <p>কোর্ট ইন্সপেক্টর (পুলিশের আদালত পরিদর্শক) মো. জিয়াউর রহমান চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার তিন মামলায় আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ভারত যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বুধবার আটক হন আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পাল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে কোনো বন্দিকে রাখা যাচ্ছে না। যে কারণে শেরপুরের বন্দি কিংবা হাজতিদের জেলার বাইরের কারাগারে পাঠানো হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/18/1729231341-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/18/1436404" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চন্দন কুমার পালের ভাই অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল বলেন, চন্দন কুমার পাল একজন সিনিয়র আইনজীবী, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি। এ ছাড়া দুই দফায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা মামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কেবল রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশেই চন্দন কুমার পালকে এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল।</p> <p>শহরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই চন্দন কুমার পালও আত্মগোপনে চলে যান। তারপর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।</p>