<p style="text-align:justify">চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২০১৭ সালের ১৮ জুন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা মামলার ফের তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এবার মামলাটি তদন্ত করবেন রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পর করা মামলাটির তখন তদন্ত ভার দিয়েছিল পিবিআইকে। </p> <p style="text-align:justify">সে সময় পিবিআই ঘটনার সত্যতা পায়নি এবং আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর বাদী জজ কোর্টে রিভিশন মামলা করেন।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি টিম ২০১৭ সালের ১৮ জুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গাড়িবহরে হামলা করে। হামলায় গাড়িতে থাকা মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ছয় নেতা আহত হন। সন্ত্রাসীরা তাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।</p> <p style="text-align:justify">এর দুই দিন পর চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে একটি মামলা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিএনপি নেতা ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তখন পিবিআই ঘটনার সত্যতা পায়নি বলে রিপোর্ট দাখিল করে। </p> <p style="text-align:justify">ঘটনার সাত বছর পর বুধবার (২ অক্টোবর) রিভিশন মামলার শুনানি শেষে বাদীপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাত আরা বেগম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনা পুনঃ তদন্তের আদেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">এ মামলায় অ্যাডভোকেট এনামুল হক ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করেন। যে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা হলো মো. সরওয়ার, নাজিমুদ্দিন বাদশা, রাসেল, মহসীন, জাহেদ, আলমগীর, নঈমুল ইসলাম, শিমুল গুপ্ত, পাভেল বড়ুয়া, মো. জাহেদ, ইকবাল হোসেন বাবলু, নাহিম, মো. ইউনুস, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, আবু তৈয়ব, এনামুল হক, রাসেল, সাইফুল, মাহাবুব, আনোয়ার, নেসার উল্লাহ, বেলাল, মুজাহিদ, বাপ্পা, মো. হারুন, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার ঘটনায় ওই সময় কেউ মামলা করার জন্য সাহস করেনি। দুই দিন পর আমি বাদী হয়ে মামলা করি। সে সময় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দাখিল করলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে জজ কোর্টে রিভিশন করলেও আমি পরবর্তী ৬-৭ বছর শুনানি করিনি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রিভিশন মামলাটি শুনানির আবেদন জানাই। আদালত আজ শুনানি শেষে পুনঃ তদন্তের আদেশ দেন।’ </p>