<p>বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। যাদের তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেছে তাদেরকেই শেষ করে দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পাঁচ নেতাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার কোনো সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি সরকার। মামলার যারা সাক্ষী ছিল, তাদের আটক করে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরীর কীর্তনখোলা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p>মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। অথচ আমরা এমন বিষয়ে দেখেছি মাত্র দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে জ্যেষ্ঠ এক রাজনীতিবিদকে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর দেশের সব সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিরা দেশ থেকে পালিয়েছেন। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে তাদের অন্যায় পাহাড়সম হওয়ায় এখন আর প্রকাশ্যে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’</p> <p>বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ১৫ বছরে প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের নির্যাতনের জন্য দেশে আয়নাঘর সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ওই আয়নাঘরের নির্যাতনের বর্ণনা সেখান থেকে বেরিয়ে আসা দুই শীর্ষ নেতার মুখে শোনা গেছে।’</p> <p>হেলাল বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংসদ নির্বাচন, সিটি নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ওই সব নির্বাচনগুলোতে তাদের অনেক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনগুলোতে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।’</p> <p>বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগর শাখার আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম খসরু, সহকারী সেক্রেটারি মিজানুর রহমান প্রমুখ।</p>