<p style="text-align:justify">তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে করা মামলায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশে দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় দেন।  </p> <p style="text-align:justify">বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন মামলা করেন। এই মামলায় আগের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের পর থেকে কারচুপির অভিযোগ করে আসছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন ও তাঁর দল বিএনপি। এরপর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিব নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হাসেন নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাকি বিবাদীরা হলেন- মেয়রপ্রার্থী আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং মো. জান্নাতুল ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চসিক নির্বাচনের ভোটের হিসাব চেয়ে এখনো পাননি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে তাঁকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে আরো সাড়ে তিন লাখ ভোট যোগ করে মেয়র বানানো হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। </p>