<p>মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ ইউনিয়নয় বিএনপির সভাপতি কাউসার তালুকদারের বিরুদ্ধে শিমুলিয়া ঘাটের চাঁদাবাজি নিয়ে মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন হয়েছে। </p> <p>শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ব্যাপারে বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>সংবাদ সন্মেলনে বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদার বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এলাকা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট ইজারাদার উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মোল্লাও গা ঢাকা দেন। পরে তিনি বিভিন্নভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘাট পরিচালনার সহযোগিতা চান। আমি গত ২০ আগস্ট তার অনুরোধে সরকারি রাজস্ব আদায় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এক চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হয়ে ঘাট পরিচালনার সহযোগিতা করি। কিন্তু এ বিষয়টিকে একটি বিশেষ মহল ও আমার দলীয় প্রতিপক্ষ আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি কখনো শিমুলিয়া ঘাটে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমি ঘাট ইজারাদারকে সরকারি রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেছি মাত্র।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমি ১৩টি মামলার আসামি ছিলাম। অথচ আজ যখন আন্দোলনের সুফল পেয়ে অত্যাচার-নির্যাতন মুক্ত হয়েছি, তখন একটি মহল আমার নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে আমাকে দলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ পরিশেষে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে সাংবাদিক ভাইয়েরা অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদ পরিবেশন করবেন। এতে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা বজায় থাকবে।’</p> <p>চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা সাক্ষী আবু হানিফ মাদবর চুক্তিপত্রের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘাট পরিচালনায় ইজারাদার সুলতান মোল্লার সঙ্গে চুক্তির কথাটি সঠিক।</p> <p>শিমুলিয়া ইজাদার সুলতান মোল্লা বলেন, ‘বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদারের সঙ্গে ঘাট পরিচালনার জন্য আমার সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র লিখিতভাবে হয়। সে আমাকে ঘাট পরিচালনায় সহযোগিতা করছিল। কোনো প্রকার চাঁদাবাজির সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।’</p> <p>সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জনি, সংগঠনিক সম্পাদক আসলাম ঢালী, ইউপি যুবদলের সভাপতি মজিবুর রহমান খান লাভলু, সহসাধারণ সম্পাদক তানজিল খান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলতামাস শেখ, সাধারণ সম্পাদক ছালাম ঢালী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম মোল্লা প্রমুখ।</p>