<p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। </p> <p style="text-align:justify">এক ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রায় ১৮ মাস পর ‘ইন্ধনদাতা’ সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে ঢাকায় তিনি গ্রেপ্তার হন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">নিহত ওই ছাত্রদল নেতার নাম রফিকুল ইসলাম ওরফে নয়ন মিয়া (২২)। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে নয়ন উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ও শিবপুর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তাজুল ইসলামসহ দুজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে গ্রেপ্তার হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।</p> <p style="text-align:justify">একাধিক সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদর এলাকায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী মিছিল বের করেন। পরে সেখানে পুলিশ জড়ো হয়। ওই সময় এক নেতাকে আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় ছাত্রদল নেতা রফিকুল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ১৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে সেখানে তার নাম ছিল না।</p> <p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আইনজীবী আবদুর রহিম জানান, নয়ন হত্যা মামলায় তাজুল ইসলামের ইন্ধন রয়েছে। ওই সময় থানায় মামলা দিলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। আদালতে পুলিশসহ ৬০ জনের বেশি আসামি করে মামলা দিলেও তা খারিজ হয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিনি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সঙ্গীয় ফোর্সকে নিয়ে তাকে ঢাকা থেকে তাজুল ইসলামকে নিয়ে আসেন। রফিকুল হত্যা মামলার তাজুল ইসলামের ইন্ধন থাকতে পারে বিধায় তার রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।</p>