<p style="text-align:justify">ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং উন্নয়ন বরাদ্দে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আর বৈষম্যের শিকার হবে না। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান এখনো শেষ হয়নি, এর বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমরা বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা চাই।’</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১২ অক্টোবর) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">গত দুই মাসে সরকারের প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি মন্ত্রিত্ব উপভোগ করতে আসিনি। যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারলে কিংবা গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে না পারলে, আবার জনতার কাতারে দাঁড়াব।’ গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।  </p> <p style="text-align:justify">নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষার্থীরা রক্ত দিলেও তারা পরবর্তীতে এর সুফল পায়নি। শিক্ষার্থীরা ইতঃপূর্বে দাসত্বের জীবন পেয়েছে। আমরা আর দাসত্বের জীবনে ফিরে যেতে চাই না। সারা দেশে ফ্যাসিস্ট কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতির পরিবর্তে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি দ্রুত ছাত্রসংসদ চালু করা হবে।’</p> <p style="text-align:justify">নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে শহীদ আবু সাঈদকে সহযোদ্ধা উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করেন এবং শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহীদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন।</p> <p style="text-align:justify">প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বিগত সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়নের খেসারত দিচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নতুন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।  </p> <p style="text-align:justify">শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদের হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি চাই। দ্রুত বিচার দেখতে চাই। শহীদ আবু সাঈদের নামে ১ নম্বর গেটের নামকরণ এবং একটি আবাসিক হলের নামকরণ চাই।’</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি এবং শিক্ষকদের মাঝে ইউজিসি প্রদত্ত গবেষণা প্রকল্পের চেক প্রদান করা হয়। গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান এবং ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান।  </p> <p style="text-align:justify">এর আগে অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রযোজনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।</p>