<p>মালয়েশিয়ায় দগ্ধ তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন ও শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে অন্যজনের মৃত্যু হয়। একাধিক রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে তারা দগ্ধ হয়েছিলেন।</p> <p>নিহতরা হলেন মুন্সীগঞ্জের রাজ্জাক ভূঁইয়ার ছেলে জব্বার আলী ও একই জেলার আবুল কাশেমের ছেলে আবু তাহের। তাদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ছাড়া একই দুর্ঘটনায় আহত সালাম নামের আরো এক বাংলাদেশি জহুরবারুর সুলতানা আমিনাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার বাড়িও মুন্সীগঞ্জে। তার বাবার নাম মহিউদ্দিন।</p> <p>এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের নির্দেশে প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান ও কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী  হাসপাতাল, কারখানা ও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। দ্রুত মরদেহ দুটি দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মালয়েশিয়ায় একাধিক কারখানায় বিস্ফোরণ, ৩ বাংলাদেশি আহত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/10/1728569743-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মালয়েশিয়ায় একাধিক কারখানায় বিস্ফোরণ, ৩ বাংলাদেশি আহত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/10/1433843" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ছাড়া যে কম্পানির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, তাদের সঙ্গে শনিবার বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জোহর রাজ্যের ইস্কান্দার পুতেরি শহরে এসআইএলসি শিল্প এলাকায় একাধিক রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে কারখানার ভেতরে থাকা তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়। দমকলকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।</p>