<p>রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশাকে মনোনীত করা হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। </p> <p>আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতির ঠিকানা/অনিয়মের ঠিকানা, ঢাবিতে হবে না’, ‘অপশক্তির চক্রান্ত, মানি না মানব না’, ‘প্রোভিসির প্রজ্ঞাপন, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘অনিয়ম/দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।</p> <p>মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশাকে মনোনীত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পদগুলোর প্রজ্ঞাপন জারি হলেও কোনো অদৃশ্য হাত এই প্রো ভিসির প্রজ্ঞাপন আটকে দিয়েছে। সুতরাং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যে নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন অবিলম্বে তার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। বিগত উপ-উপাচার্য ও অনেক শিক্ষক স্বৈরাচারের দোসর ছিল। আমরা আর কোনো দলকানা উপ-উপাচার্য চাই না।’  </p> <p>বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির আজরাফ বলেন, ‘কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে শিক্ষার্থীদের সমর্থন থাকার পরেও রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রো ভিসির প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি। আমরা এটা মেনে নেব না।’ তিনি অধ্যাপক ইসমাইল ও অধ্যাপক বিদিশাকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার কথা বলেন।</p> <p>মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করতে বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে যান। স্মারকলিপিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও রহস্যজনকভাবে আটকে যাওয়া প্রো ভিসির প্রজ্ঞাপন অনতিবিলম্বে জারি করার দাবি জানানো হয়।</p>