<p>সবচেয়ে বড়, কিংবা সবার প্রথম নিয়ে আমাদেরে একটা আবেগ কজ করে। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, সবচেয় বিখ্যাত, কিংবা সবার  সেরা কিছুর তালিকায় যদি আমাদের কিছু থাকে, তা নিয়ে আমাদের উৎসাহের কূল-কিনারা থাকে না। কিন্তু সব ‘বড়’র ভিড়ে একটা ‘বড়’র কথা আপনি কি জানেন? এটা নিয়ে হইচই কমই হয়। সেটা হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফল।</p> <p>হ্যাঁ, আমাদের জাতীয় ফল কাঠালই আকারে ও ওজনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফল। </p> <p>কাঁঠাল—যেমন এর পুষ্টিগুণ, তেমনি স্বাদ। আমাদের এই দেশীয় ফল শুধু এদেশেই নয়, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের খাদ্য তালিকায় এটি রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাঁঠাল খুব জনপ্রিয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus। কাঁঠালগাছ মাঝারি আকারের হয়। এর ফল গাছের কাণ্ড কিংবা বড় ডাল থেকে ঝুলে থাকে। </p> <p>কাঁঠালকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফল বলা হয়, তার কারণ আকার ও ওজন। একটি পূর্ণবয়স্ক কাঁঠালের ওজন সাধারণত ১০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার হতে পারে। মাঝে মাঝে ওজন ৫০ কেজির বেশি ওজনের কাঁঠালও পাওয়া যায়।</p> <p>কাঁঠালের খোসা সবুজ বা হলুদ রঙের হয় এবং এতে ছোট ছোট সবুজ ও সহনীয় কাঁটা থাকে। এর ভেতরে হলুদ রঙের ছোট ছোট কোষ থাকে। এই কোষগুলোই আমাদের তৃপ্তি মেটায়। প্রতিটি কোষের ভেতরে একটি করে বড় আকারের বীজ থাকে, যা ভাজা বা সিদ্ধ করে খাওয়া যায়।</p> <p>কাঁঠাল মূলত দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের দেশীয় ফল। তবে এখন এটি বিশ্বের অনেক উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। কাঁঠাল শুধু আকারে বড় নয়, এর পুষ্টিগুণও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার. প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এসব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চোখের জন্য উপকারী, হজম শক্তি বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরের পেশি ও কোষ গঠনে সহায়ক।</p> <p>তাই এখন থেকে কাঁঠালকে আর হেলাফেলা করবেন না। আপনার যদি একটা কাঁঠালগাছ থাকে, তবে জানবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফলের একটি গাছের মালিক আপনি।</p>