<p>এক দশক আগে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করা হয়েছে। কেন তাকে নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।</p> <p>মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/15/1726421732-1d96d39d8195ecfb67c932f41a50479a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2024/09/16/1425847" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সোহেল রানার আইনজীবী সাজ্জাদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া এক আদেশে নির্দেশনা ছিল মামলাটির বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে। শেষ করতে না পারলে তিনি (সোহেল রানা) যদি জামিন আবেদন করেন, তবে সংশ্লিষ্ট আদালতকে সে আবেদন বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। এ আদেশের পর প্রায় ৯ মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিচারকাজ শেষ হয়নি। পাঁচ শতাধিক সাক্ষীর মধ্যে শুধু ৯১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ফলে এ মামলার বিচারকাজ কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানির পর হাইকোর্ট ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন।</p> <p>তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা বলেছেন, এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রানা প্লাজা ধস: এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/04/24/1713914271-55bdda6189cef1a923aa915104576dbd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রানা প্লাজা ধস : এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/04/24/1381862" target="_blank"> </a></div> </div> <p>২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন আটতলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে শিল্পক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত হন ১ হাজার ১৩৫ জন এবং আহত হন আরো হাজারখানেক শ্রমিক।</p> <p>বাংলাদেশের ওই ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। দেশে কারখানার অবকাঠামোগত নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এলে সরকার ও মালিকরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।</p> <p>ভবনধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রথমে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে এজাহারে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানোসহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ২০১৫ সালের ১ জুন অভিযোগপত্র জমা দেন। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচারকাজ চলছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সংঘর্ষে নিহত শ্রমিকের পরিবার পাবে ১৩ লাখ টাকা : আসিফ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727788451-7169d8b634990b608da8ac5c23d396b5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সংঘর্ষে নিহত শ্রমিকের পরিবার পাবে ১৩ লাখ টাকা : আসিফ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/01/1430805" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কয়েক দফা জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২২ সালে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে ফের আবেদন করেন সোহেল রানা। আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানির পর গত বছর ৬ এপ্রিল রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সোহেল রানাকে নিয়মিত জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ৯ মে সে জামিন স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।</p>