<p style="text-align:justify">দুই যুগ আগে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত, বর্তমান প্রধান বিচারপতির হাত ধরে সে রায়ের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মামলার বাদী মাসদার হোসেন। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি অভিভাষণ দেন। এই অভিভাষণে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথককরণের রূপরেখা তুলে ধরেন। ঘোষিত রূপরেখায় বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণের চিত্র ফুটে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান মাসদার হোসেন। এ সময় তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার বিভাগ পৃথককরণের রায় চূড়ান্ত বাস্তবায়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727359760-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/26/1429182" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><br /> দেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক চেয়ে ১৯৯৪ সালে এই মামলা করেছিলেন জেলা জজ ও জুডিশিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মাসদার হোসেন। তিনি এখন অবসরে রয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেন। ওই রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮২৯ রোগী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727359739-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮২৯ রোগী</p> </div> </div> </div> <p><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/26/1429181" target="_blank"> </a></p> <p><span style="text-align:justify">মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৬ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে ওই বছর ২৮ আগস্ট শুনানিতে বলেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেই সঙ্গে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। এরপর দফায় দফায় সময় দেওয়া হলেও সরকারের সঙ্গে আদালতের মতপার্থক্যের কারণে ওই বিধিমালা গেজেট প্রকাশের বিষয়টি ঝুলে থাকে। </span></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এর আগে শৃঙ্খলা বিধিমালার যে খসড়া সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই তা গ্রহণ না করে কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। শৃঙ্খলাবিধির সেই খসড়া নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে দেশ ছাড়েন। ছুটি শেষে ১০ নভেম্বর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এরপর ১৬ নভেম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার সঙ্গে বৈঠক করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই খসড়া নিয়ে মতপার্থক্য দূর হয়েছে। পরে ১১ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727358754-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/26/1429179" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বাবা প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ মাসদার হোসেন মামলার আইনজীবী। বিনা পারিশ্রমিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ বাদীর পক্ষে এ মামলা লড়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।</p>