<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক বছর ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়ে চলছে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনার রেশ এসে ঠেকেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পর্যন্ত, এমনকি প্রায় এক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের রেশ রয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক এই টানাপড়েন এসে ঠেকেছে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জায়গায়। ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এখন পর্যন্ত একটি অসমাপ্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সর্বাত্মক আর্থিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে এলেও রাশিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে সাফল্য অর্জন করেছে এখন পর্যন্ত। দেশটির ভূমির একটি বড় অংশ এখন পর্যন্ত রাশিয়া দখলে নিতে পেরেছে। এদিকে এই যুদ্ধে পশ্চিমা জোটগুলোর পক্ষ থেকে যত আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে, এর চেয়ে অনেক বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, যার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেন এবং গাজায় ইসরায়েলের প্রতি সহায়তা প্রদানে ব্যস্ত, এই সময়টিকে চীন বেছে নিয়েছে নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জায়গাটিকে শক্তিশালীকরণ এবং এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজেকে একটি শক্তিশালী পর্যায়ে উন্নীত করার কাজে। এককথায় যুক্তরাষ্ট্র যেন অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছে তার আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে। এদিকে ইউরোপের সঙ্গে ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্য না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের নীতিগত মতবিরোধ চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চীনের প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন নীতি সামনে নিয়ে এগোতে হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সবার আগে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে অংশীদারদের সঙ্গে বোঝাপড়ার জায়গাটিকে একটু নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও ট্রাম্প-পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে এক ধরনের ভারসাম্যমূলক কূটনীতি বজায় রাখার চেষ্টা করে যাওয়া হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক প্রতিনিধিদলের সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে বেইজিংয়ে, তার পরও চীনের তরফ থেকে প্রচ্ছন্নভাবে ইউক্রেনের বিপক্ষে রাশিয়াকে সহায়তা করা এবং গত বছর একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে গোয়েন্দা বেলুন প্রেরণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এক ধরনের মুখ দেখাদেখি বন্ধের কারণে বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান, ফোরাম ও সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়ে। বিশ্ববাণিজ্যে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েনের জেরে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং জি২০ সম্মেলনেও এর প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে ব্রিকসের মতো সংস্থায় চীনের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীলতার কারণে এর সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন সমস্যা তৈরি করে। বর্তমানে ব্রিকস ও ব্রিকস প্লাস দেশগুলোর কাছে বৈশ্বিক জিডিপির ৩৬ শতাংশ রয়েছে এবং তাদের জনসংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। বোঝাই যাচ্ছে স্পষ্টতই চীনের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের কাছে হোঁচট খাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপীয়দের নেতৃত্বাধীন আইএমএফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের দাপটের বিরুদ্ধে বর্তমানে ব্রিকস চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া তাদের নিজস্ব বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক তো রয়েছেই। শি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বর্তমান চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, বর্তমান বাস্তবতায় তা অনেকটা সঠিক পথেই রয়েছে <img alt="পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক" height="268" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/21-09-2024/45.jpg" style="float:left" width="400" />বলে দৃশ্যমান। চীনকে ঠেকাতে হলে কালবিলম্ব না করে এই বিষয়গুলো মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিনব কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে শক্তিশালীকরণ, এর সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি এবং কোয়াডের মতো সংস্থাকে কার্যকর করা, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারি বৃদ্ধি, এই অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর আস্থা অর্জন এবং অর্থনৈতিক সুবিধার যথাযথ বণ্টনের মধ্য দিয়ে চীনের মতো একটি বলয় সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর জোট গড়ে তোলা যেতে পারে। তবে অবস্থাদৃষ্টে চীন যেভাবে বিশ্ববাণিজ্যে উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত তার দাপট ধরে রেখেছে, সেটি অতিক্রম করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুরূহ। তবে ইন্দো-প্যাসিফিক জোটের মধ্য দিয়ে সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের চীনের বলয় থেকে কিছুটা হলেও বের করে আনা সম্ভব হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে পরিস্থিতি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলোর পরিবর্তে সামরিক শক্তি প্রয়োগের মধ্য দিয়ে চীনকে মোকাবেলার কৌশল বেছে নিয়েছে। সম্প্রতি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের তৈরি করা অস্ত্রসমৃদ্ধ জাহাজ এবং বিভিন্ন আক্রমণে ব্যবহারযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে এসব সস্তা ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এটি চীনের ব্যবস্থার বিপরীত একটি ব্যবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি কুইকসিংক নামক এক বিশেষ জাহাজবিধ্বংসী অস্ত্রের উৎপাদন শুরু করেছে, যার উৎপাদন ব্যয় কম এবং খুব সহজেই জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুতে তা আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে বি২ স্টিলথ বোমারু বিমানের মাধ্যমে মেক্সিকো উপসাগরে এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরের সামরিক কমান্ডের পক্ষ থেকে এ ধরনের অস্ত্রের চাহিদার কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলা হচ্ছিল। এর আগে গত এপ্রিল মাসে তারা ফিলিপাইনে সামরিক মহড়াকালে টাইফুন মোবাইল ব্যাটারি মোতায়েন করেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের মোতায়েনকৃত সেনাদের মাঝে এসব নতুন, অত্যাধুনিক এবং তুলনামূলক কম ব্যয়ের নির্মিত অস্ত্রগুলো মোতায়েনের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় চীনের কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছে তারা। উল্লেখ্য যে এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় চীন এগিয়ে রয়েছে। তা ছাড়া অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেকটা তাদের ঘরের কাছে। সেদিক দিয়ে তারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের দক্ষিণ চীন সাগরটি চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে উপকূলীয় কমপক্ষে অপর ১০টি দেশের সঙ্গে সাগরের জলপথের মালিকানা নিয়ে চীনের মতপার্থক্য রয়েছে। বলা যায়, অনেকটা জোর করেই এই সাগরের ওপর চীন তাদের কর্তৃত্ব বহাল রেখেছে। ২০১৬ সালে হেগের আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের পক্ষ থেকে চীনের দাবির কোনো আইনগত বৈধতা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তাপ আরো ছড়িয়ে পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক চীন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নীতিকে স্বীকার করলেও তাইওয়ানের পক্ষে কয়েকবার সেখানে সামরিক জাহাজ মোতায়েন করে। জবাবে চীনের তরফ থেকেও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অঞ্চলে কেবল তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে চীনকে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাদের প্রয়োজন অপরাপর দেশগুলো, যাদের সঙ্গে চীনের স্বার্থের সংঘাত রয়েছে, তাদের শক্তিশালী করা। আর সে জন্যই সামরিক শক্তি এবং নতুন নতুন অস্ত্রের উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সেগুলোকে বিতরণের এই কৌশল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব মিলিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে কেবল সামরিক শক্তি ব্যবহারই তার রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে অক্ষুণ্ন রাখতে পারে। এখানে সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব চীন ও রাশিয়ার মতো দেশকেও উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থির পরিস্থিতি তাদের এ ধরনের নীতিকে বুঝতে আমাদের সহায়তা করে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেই নতুন করে ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘাত একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের পূর্বাভাস দেয়। লেবাননে একসঙ্গে কয়েক হাজার পেজার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ৯ জন নিহত এবং প্রায় তিন হাজার আহত হওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল দায় স্বীকার না করলেও বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা নয় যে শান্তি আলোচনার নাম করে ইসরায়েলের হাত ধরে এই অঞ্চলে সংঘাতকে প্রলম্বিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটিও ঠিক যে সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে চীন ও রাশিয়ার নীতি পরিষ্কার করে জানানো না হলেও এই অঞ্চলে ইরানের মিত্র তারা এবং যখন একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে, তখন বৃহৎ শক্তিবর্গের নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ থাকবে না। আন্তর্জাতিক এই সংঘাতগুলো সমাধানের জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন, এর জন্য সর্বাগ্রে যুক্তরাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><a href="mailto:mfulka@yahoo.com" style="color:blue; text-decoration:underline">mfulka@yahoo.com</a></span></span></span></span></p> <p> </p>