<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন আর প্লাস্টিক আচ্ছন্ন করে রেখেছে আমাদের চারপাশ। ভেবে দেখুন আপনি কী এর নাগপাশ থেকে মুক্ত? খালি হাতে বাজারে গিয়ে প্রতিদিন ১০-১২টি পলিথিন ব্যাগ নিয়ে ঘরে ফেরা। এরপর ঘর গৃহস্থালি কাজে প্লাস্টিক তো আছেই, বালতি-বদনা থেকে শুরু করে ঘরের চেয়ার-টেবিল, আসবাব, ফুলের টব কোনোটি বাদ নেই। এ থেকে বের হওয়া, এর ব্যবহার কমানো বা এর বিকল্পের সহজপ্রাপ্যতা, এসবই আজকের ভাবনা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিক আবর্জনারই সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিক হচ্ছে প্লাস্টিকের অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশ। পাঁচ মিলিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের প্লাস্টিকের টুকরাগুলোকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য প্রতিনিয়ত মিশছে পরিবেশে। তাপমাত্রা, অণুজীব এবং নানা জৈব ভূ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার এসব প্লাস্টিক ভেঙে পরিণত হচ্ছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকে বা মাইক্রোপ্লাস্টিকে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্যদূষণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কে শীর্ষ ১০ জরুরি পরিবেশগত সমস্যাগুলোর অন্যতম একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মাইক্রোপ্লাস্টিক আজ গোটা পৃথিবীতে এক অন্যতম পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্যশৃঙ্খলে মাইক্রোপ্লাস্টিক</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আকারে ক্ষুদ্র হওয়ায় মাইক্রোপ্লাস্টিক মাটি, পানি বা বাতাসের সঙ্গে সহজেই মিশে গিয়ে নষ্ট করছে পরিবেশের ইকোসিস্টেম। নদীর স্রোত, বৃষ্টি, বন্যা প্রভৃতি উপায়ে এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক পুকুর, নদী ও সমুদ্রে গিয়ে জমা হয় এবং ভূগর্ভস্থ পানি ও ভূ-পৃষ্ঠীয় পানির সঙ্গে মিশে সুপেয় পানিকে দূষিত করে। সামুদ্রিক ও স্বাদুপানির মাছের পেটে চলে যাচ্ছে এসব মাইক্রোপ্লাস্টিক। ফলে সহজেই প্রাকৃতিক খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা পর্যায়ক্রমিক পরিক্রমায় মানবদেহে প্রবেশ করছে। অতি সম্প্রতি (২০১৮-২১) বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা রয়েছে, যা মানুষের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাছে-ভাতে বাঙালি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রবাদটি খুবই সুপরিচিত। প্রাণিজ আমিষের জন্য মাছ এখনো আমাদের অন্যতম ভরসা। এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসডা) সম্প্রতি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে গবেষণা করে। তারা তিন শহরের নদী-খাল-জলাশয়ের পানিতে প্লাস্টিক (মাইক্রোবিড) পেয়েছে। এসডা প্রায় ২০ প্রজাতির মাছের ওপর গবেষণা করে। সংস্থাটি মাছের পাকস্থলী, মুখ ও ডিমে মাইক্রোবিড পাওয়ার কথা জানায়। ২০২২ সালে ইউরোপের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় মানবদেহের ফুসফুসে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষণ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষণ একেবারেই নতুন একটি বিষয় এবং নির্মাতা ও ভোক্তা কেউই মাইক্রোপ্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নন। তাই মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষণ লোকচক্ষুর অন্তরালে ভয়ংকর গতিতে এগিয়ে চলছে। অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। এ ছাড়া বর্ষাকালে নদী-নালা, খাল-বিল ডুবে যায়। ফলে পানির অবিরাম প্রবাহ দেশের অধিকাংশ প্লাস্টিক বয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের একমাত্র সাগর বঙ্গোপসাগরে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন ব্যাগ প্লাস্টিকেরই এক ভিন্ন সংস্করণ। বাংলাদেশে প্রতিদিন কী পরিমাণে পলিথিন উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয় এবং শেষে বর্জ্য হিসেবে নালা-নর্দমা, খালবিলে কী পরিমাণ জমা হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সরকারি তথ্য বা হিসাব পাওয়া যায়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন দেশে তিন হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়েস্ট কনসার্নের যৌথ গবেষণা অনুযায়ী, মাত্র ৩৬ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করা হয়, ৩৯ শতাংশ ল্যান্ডফিলে যায় এবং অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে জমা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিকের দূষণ রোধে ও নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের ১২৭টি দেশ এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোনো কোনো দেশ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উৎপাদন, ব্যবহার, বিক্রয়, বিতরণ এবং ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের একাধিক অঙ্গরাজ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, ব্যবহার, বিক্রয়, বিতরণ এবং ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এক পরিপত্রের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা পলিথিন ব্যাগ এবং প্লাস্টিক ফুড কনটেইনার নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬-এর সংশোধনীর মাধ্যমে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ভারত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন ব্যবহার, উৎপাদন, বিক্রয়, ক্রয়, আমদানি, রপ্তানি নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করে এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে সংশোধনী এনে পলিথিন ব্যবহার, উৎপাদন, বিক্রয়, ক্রয়, আমদানি, রপ্তানি নিষিদ্ধ করে এবং শাস্তির বিধান সংযোজন করে। পলিথিনের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬ক ধারার অধীনে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরে এবং ২০০২ সালের ১ মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, মজুদ, বিতরণ এবং ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে সাময়িকভাবে এর ব্যবহার হ্রাস পেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির অভাবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবারও পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্ধ হোক পলিথিন</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে এর ব্যবহার থামানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে। এর বিকল্প কী হতে পারে তা ভাবতে হবে। প্লাস্টিকের বদলে বাঁশের তৈরি পানির বোতল, কাঠ ও পাটের তৈরি স্টেশনারি, পরিবেশবান্ধব মাটির উপকরণ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষ এখন মাটির তৈরি জিনিস শৌখিন পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনচর্চায় এটি নিয়ে আসতে হবে। পাটের তৈরি ব্যাগ অবশ্যই পলিথিনের বিকল্প হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা পাটের কথা ভেবেছি। পাটে ৭০ শতাংশ সেলুলোজ থাকে। বাংলাদেশেই পাট উৎপন্ন হয়। ৭০ শতাংশ সেলুলোজ পৃথিবীর আর কোনো গাছে নেই। একটা গাছ পূর্ণবয়স্ক হতে ১৫ থেকে ২০ বছর লাগে। এরপর সেখান থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সেলুলোজ পাওয়া যাবে। অথচ পাটে মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সেলুলোজ পাওয়া যায়। এক হেক্টর জায়গায় যে পাট উৎপাদিত হয় তা ১০ থেকে ১২ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাস থেকে শোষণ করে এবং সমপরিমাণ অক্সিজেন আমাদের দেয়। পলি বা প্লাস্টিক থেকে পণ্য উৎপাদনের সময় কত হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে আসে তার ইয়ত্তা নেই। পাট থেকে পরিবেশবান্ধব অর্গানিক ব্যাগ তৈরি হয়েছে। এ ব্যাগের গুণ হলো এটা কাগজের মতো আগুনে পুড়ে ছাই হয় আবার মাটিতে মিশে সার হয় এবং নদী-সাগরে গেলে পচে মাছের খাবার হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোনালি ব্যাগ </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিনের নির্ভরযোগ্য বিকল্প ভাবা হয়েছিল পাটের তৈরি পচনশীল সোনালি ব্যাগকে। এটি উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান, ২০১৬ সালে। এটি একটি সেলুলোজভিত্তিক বায়োডিগ্রেডেবল বায়োপ্লাস্টিক, যা প্লাস্টিক/ব্যাগের বিকল্প। পাট থেকে সেলুলোজ সংগ্রহ করে তা দিয়ে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতোই, তবে তা পচনশীল হওয়ায় পরিবেশবান্ধব। পাঠ থেকে তৈরি এই ব্যাগকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নামকরণ করেছেন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোনালি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ব্যাগ। বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসার আগেই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোনালি ব্যাগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলেছিল। ব্যাগটি বাজারজাত করতে ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যাগ ছয় বছরেও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা যায়নি। এ বিষয়টিকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। জোর দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, রিসাইক্লিংয়ের ওপর। তা ছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিকের ওপর সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং এর ভয়াবহ দিক সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করতে হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">hasanur7@yahoo.com</span></span></span></span></p>