<p>প্রতীয়মান হয় রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে চলেছে। গত অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার। ব্যালান্স অব পেমেন্ট মেথডে ১৯.৪৭ বিলিয়ন ডলার। বিনিময় হার প্রায় বাজারভিত্তিক ক্রলিংপেগ অনুসরণের পর আইএমএফ কিস্তি  ছাড়ে এবং বাজেট সহায়তা প্রাপ্তিতে (এডিবি, বিশ্বব্যাংক, দ্বিপক্ষীয় সহায়তা) ক্রমান্বয়ে রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে আশা করা যায়। সামষ্টিক অর্থনীতির শক্ত ব্যামো মূল্যস্ফীতি যেন বাগে আনা যাচ্ছে না। অর্থনীতির জন্য এটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার অনেক মুদ্রানীতি সম্কর্কিত পদক্ষেপ এরই মধ্যে গৃহীত হয়েছে। সুদের হারের ক্যাপ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে, বিলাস পণ্যসহ অনেক পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেছে (টাকা ছাপিয়ে), ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে, ট্রেজারি বিল বন্ডের সুদের হার ১২ শতাংশের ওপর নেওয়া হয়েছে। গত ষাণ্মাসিকে সংকুচিত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সরবরাহ দিকটাকে উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতে ঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মুদ্রানীতিতে যা করণীয় সব পদক্ষেপ সুচিন্তিতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অর্থবছর ২০২২, ২০২৩, ২০২৪-এ গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। অর্থবছর ২০১৪-তে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৩৫ শতাংশ, যা ২০২৪ (জুন)-এ ছিল ৯.৭৩ শতাংশ, গত ১২ বছরে এটা সর্বোচ্চ। মুদ্রানীতি ব্যবহার করে যতটা সম্ভব চাহিদা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় আসলে আমাদের মূল্যস্ফীতিতে ততটা প্রভাব ফেলানো যায়নি, এটা এখন তথ্যনিষ্ঠভাবেই বলা যায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ দুই মাসের (মে-জুন) বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ভারত ও নেপালের চেয়ে দ্বিগুণ। শ্রীলঙ্কার গড় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ২ শতাংশ। নেপালে মূল্যস্ফীতি এখন ৪.৪ শতাংশ।</p> <p>মূল্যস্ফীতি ঘটলে প্রথমেই চিকিৎসা ডোজ দেওয়া হয় সুদের হার বাড়িয়ে এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করে, সেই সঙ্গে সরকারি ব্যয় কমিয়ে। মুদ্রানীতির মাধ্যমে প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বাগে আনতে পারলেও আমাদের দেশে এই প্রথাগত চিকিৎসা ডোজ কেন কাজে আসছে না—সেই প্রশ্ন অর্থনীতিবিদরা করছেন। কারো কারো বক্তব্য, সময়মতো নীতি-পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সুদের ক্যাপ অনেক বিলম্বে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। এটা সবার জানা যে কভিড-উত্তর অর্থনীতির উত্থানকালে দেশে দেশে নানা শিল্প উৎপাদন উপকরণ, কৃষি উৎপাদন উপকরণ, কৃষিপণ্য এবং জ্বালানি তেলসহ বেশির ভাগ পণ্যের বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়ে যায়। তত্সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি ও ২০২২ সালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অবরোধ আরোপ এবং যুদ্ধের ফলে সমুদ্রপথে সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ে। কভিড-উত্তর বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, সেই সঙ্গে উন্নত দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় নীতি সুদের হার বাড়ানোয় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে এবং বাণিজ্যে যুক্ত বেশির ভাগ দেশের মুদ্রার অবনমন ঘটে। বাংলাদেশেও সেই প্রভাব আঘাত হানে এবং শেষ পর্যন্ত টাকার মানের অবনমন ঘটে প্রায় ৪০ শতাংশ বা এর কাছাকাছি। প্রাথমিক কৃষিপণ্যাদির আমদানিনির্ভর বাংলাদেশে শিল্প ও কৃষিসংশ্লিষ্ট সব উৎপাদন উপকরণের খরচ বেড়ে যায়, যা চূড়ান্ত পণ্যে প্রতিফলিত হয়ে মূল্যস্ফীতি স্থায়ী রূপ নেয়। কৃষির মতো মৌলিক পণ্যাদির আমদানিনির্ভর দেশে আমদানির পথ বেয়ে একবার মূল্যস্ফীতি দেখা দিলে তা কমিয়ে আনতে কয়েকটি উৎপাদন মৌসুম চলে যেতে পারে। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি আমদানির পথ বেয়ে দেখা দিয়েছিল। আমাদের বাজারে পণ্যের হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধি পায়নি, সেটা কৃষির ক্ষেত্রে যেমন, শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রেও তাই। কৃষির জন্য আমাদের বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, সার বা রাসায়নিক, তুলা, মৎস্য ও পশুখাদ্য—সবই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। মাধ্যমিক শিল্পপণ্য, যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমেই আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ও ভারী শিল্পের উপকরণ আমদানি করতে হয়। এসব উপকরণ বর্ধিত মূল্যে আমদানি করায় এবং চাহিদা বৃদ্ধিজনিত কারণে আমাদের মূল্যস্ফীতি ঘটেছিল। গত দুই থেকে আড়াই বছর সুদহার বাড়ানো, মুদ্রা সরবরাহ সীমিতকরণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খুব কাজে দেয়নি। ভারত খাদ্য বা প্রাথমিক কৃষিপণ্যাদি আমদানি করে না। <img alt="মূল্যস্ফীতি কমানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ" height="484" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/13-07-2024/1.jpg" style="float:left" width="500" />শ্রীলঙ্কার প্রধান আমদানি পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, ফেব্রিক্স ও জাহাজ; কৃষিপণ্য তেমন আমদানি করে না। নেপাল আমদানি করে প্রধানত জ্বালানি তেল, স্বর্ণ, স্টিল, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত পণ্য। বাংলাদেশের প্রধান আমদানি যন্ত্রপাতি, জ্বালানি, সার, বীজ,  ভোজ্য তেল, তুলা, চাল, গম, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, গো-মাংস, টমেটো, মসলা ইত্যাদি। আন্তর্জাতিকভাবে কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার অবমূল্যায়নে কৃষিপণ্য, ডিম, ব্রয়লার, চাষকৃত মৎস্য, গবাদি লালন-পালনের খরচ বেড়ে যায়, যা আবার উৎপাদিত পণ্যে অধিক দামে বিক্রয় করতে হয়। মোটকথা, আমরা উৎপাদন খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতিতে (কস্ট পুশ-ইনফ্লেশন) নিপতিত। যে কারণে নীতি সুদহার বাড়িয়ে, মুদ্রা সংকোচনের মাধ্যমে আমদানি নিবৃত্ত করে প্রথাগত এই প্রেসক্রিপশন ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও বাংলাদেশে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। হবেও না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের হাত দিতে হবে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায়। সেই কৃষি, কৃষির উপখাতগুলো, শিল্প ও সেবা খাত (পণ্য বণ্টন ও বিক্রয়সহ)—সব উৎপাদন খাতে কম খরচে অধিক উৎপাদনের কৌশল ও এর সমর্থনে প্রযুক্তি, গবেষণা, উন্নত ব্যবস্থাপনায় মনোনিবেশ করতে হবে। এ ছাড়া গত্যন্তর নেই। উৎপাদন খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি কমাতে কয়েকটি মৌসুম কিংবা কয়েকটি উৎপাদনচক্র পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। এ কারণেই চটজলদি মূল্যস্ফীতি খুব নামিয়ে আনা যাবে না। মূল্যস্ফীতির চক্রে বর্ষাকালে সব সময়ই কৃষিপণ্যাদির দাম সারা বছরের চেয়ে বেশি থাকে। আগামী মুদ্রানীতিতে এই প্রথাগত দাওয়াই থেকে বেরিযে আসতে হবে। মানে বেশি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি না করা। সুদের হার আর বাড়তে না দেওয়া। যা হয়েছে যথেষ্ট, আর নয়।</p> <p>প্রধান কৃষি ফসলের উৎপাদন মৌসুম বর্ষাকাল নয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে, বান-বন্যা হয়, যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হয়, সে কারণে বর্ষা মৌসুমে কৃষিপণ্যাদির দরদাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। গড় মূল্যস্ফীতি প্রান্তিকভাবে হয়তো আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ওঠানামা করবে, খুব নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলেই মনে করি। আগামী ডিসেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি  কমতির দিকে ধাবিত হবে। ইত্যবসরে সার্বিক কৃষি উৎপাদনব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। কৃষিতে উৎপাদন ঋণ নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য সরবরাহব্যবস্থা কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। হরতাল, ধর্মঘটের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো বাধা সৃষ্টি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। পরিবহনে চাঁদাবাজি পণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ—এ অভিযোগ পণ্য পরিবহন খাতের প্রায় সবার। উৎপাদন খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি একবার বেড়ে গেলে কৃষিপণ্যের দাম পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে না। তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কিছুটা কমানো যেতে পারে প্রতি ইউনিটে ফলনের হার বৃদ্ধি করে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনের খরচ কমিয়ে, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে, বিপণনে খরচ কমিয়ে।  ‘প্রাইস-রিজিডিটি কৃষিপণ্যাদি বিপণনের বৈশিষ্ট্য (যে হারে বাড়ে, সেই হারে সাধারণত পুনরায় কমে না)। সদ্য পাস হওয়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজেট আকার বড় করা হয়নি। বাজেট ঘাটতি কমানো হয়েছে। কৌশল হিসেবে যথাযথ। আমদানীকৃত কৃষিপণ্যের উৎস কর ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিও চলমান থাকবে। এ ছাড়া আর তেমন কর্মসূচি উল্লিখিত হয়নি পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য। বাজেটে বিজ্ঞান গবেষণায় ‘বিশেষ গবেষণা অনুদান’ দেওয়া হচ্ছে প্রতিবছর। কৃষিবিজ্ঞান গবেষণার জন্য বিশেষ অনুদান বা ব্লক ফান্ড দেওয়া যেতে পারে। ব্যয় সংকোচে সহায়তা করে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ফসল সংরক্ষণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিরূপ জলবায়ুসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, মাটির স্বাস্থ্য উদ্ধারে জৈব প্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। পণ্য বিপণনে বা মূল্য শৃঙ্খলের কোন স্তরে সিন্ডিকেট তৈরি হতে পারে— তা প্রতিটি বাজারজাতকৃত পণ্যের জন্য অধ্যয়ন থাকতে হবে, যাতে যথাসময়ে যথা স্থানে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে পারে। কল্যাণকর সিন্ডিকেট বা সমবায়কে উৎসাহিত করতে হবে। সব পর্যায়ে, সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাজার কুশীলবরা যেন প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বাধাহীনভাবে বিপণনে কার্যক্রম করতে পারে, আইনগত প্রতিষ্ঠানগুলো সেটা নিশ্চিত  করবে। যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আমদানিকারককে সুযোগ দিতে হবে। যেসব পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় তা আমদানিকারকদের যেকোনো সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমদানির সুযোগ থাকবে। অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্যই সংকেত দেবে আমদানিকারক কত পরিমাণ আমদানি করবে। অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানি এই উভয় খাতেই বাজার স্বয়ক্রিয়ভাবে কাজ করবে কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া। অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাজারের ওপর ছেড়ে দিই। প্রতিযোগিতামূলক সক্রিয় বাজার সর্বোচ্চ পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবে, প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে  এতে মূল্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। মূল্যস্ফীতি বাজারের সমস্যা, বাজারকে ব্যবহার করেই এর সমাধান বের করতে হবে। সর্ব ধরনের বাজারে সফলভাবে কাজ করতে হলে উৎপাদন, বিতরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন কার্যক্রমে পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো পর্যায়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম উৎপাদক, বাজার কুশীলবদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। উৎপাদক, বাজার কুশীলবদের কার্যক্রম বিনা বাধায় সার্বক্ষণিক চলতে দিতে হবে। সর্বোচ্চ উৎপাদন ও বণ্টন তখনই সম্ভব হবে। বাজারের সঙ্গে যুক্ত বাজার কুশীলবদের অনেকের অভিযোগ, বিভিন্ন পর্যায়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হয়, যা শেষ পর্যন্ত সেই ব্যয় পণ্যের ওপর বর্তায় এবং ভোক্তাকে বেশি দাম দিতে হয়। চাঁদাবাজি কমালে বহু পণ্যের দাম ভোক্তা বাজারে কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ৪০ শতাংশ টাকার অবমূল্যায়নের পর আমদানি-রপ্তানি ট্যারিফ কমানোর অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ৪০ শতাংশ বাড়তি রাজস্ব আদায়ের বদলে ৯-১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমাতে অন্তত  ২৫-৩০ শতাংশ আমদানি কর কমিয়ে দিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমে আসবে। আমাদের এবারের বাজেটের প্রধান অভীষ্ট মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। বাজেটের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা, বাজারকে বাধাহীন কাজ করতে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।</p> <p> </p> <p>লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও সাবেক সদস্য, পরিকল্পনা কমিশন ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী</p> <p> </p>