<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক বছর মালদ্বীপে কোনো ফুটবল হয়নি। কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। হ্যাঁ, ফেডারেশন সভাপতি বাসাম আব্দুল জলিলের নিষেধাজ্ঞা, ফেডারেশন ভবনে পুলিশি অভিযানে দেশটির ঘরোয়া লিগ এবং জাতীয় দলের কার্যক্রম থমকে গিয়েছিল। তবে খেলোয়াড়রা যে খেলার বাইরে ছিলেন না, সেটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বসে প্রথম ম্যাচের আগে বলছিলেন মালদ্বীপ কোচ আলী সুজেইন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দ্বীপগুলোতে প্রচুর স্থানীয় টুর্নামেন্ট হয়। ফুটবলাররা সেসব টুর্নামেন্ট খেলেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একেবারে স্থানীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট খেলে ঢাকায় এসে মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিভাবে জিতে গেল, সেটা অন্য বিতর্ক। তবে আলী সুজেইনের মতে স্থানীয় এই খেলাতেই নতুন করে আশা দেখছে মালদ্বীপের ফুটবল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত তিন-চার বছরের মধ্যে আমাদের দ্বীপগুলোতে প্রায় ৮০টি নতুন ফুটবল মাঠ হয়েছে। এই মাঠগুলোতে নিয়মিত খেলা হচ্ছে, নতুন উদ্যমে নানা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এখান থেকেই সামনে আমরা অনেক ফুটবলার পাব, এটা আশা করতেই পারি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ইন্টারনেট ঘেঁটেও দেখা গেল সাবেক রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর মালদ্বীপজুড়ে ১০০ ফুটবল মাঠ করার ঘোষণাটি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েই সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। মালদ্বীপের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এর মধ্যেই ৫০টি পূর্ণ মাপের ফুটবল মাঠ তারা গড়েছে, সঙ্গে আছে অনেকগুলো মিনি টার্ফও। ছোট-বড় মিলিয়ে হাজারের বেশি দ্বীপের সমষ্টি মালদ্বীপ। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক বছর আগেও এই দ্বীপগুলোতে বালুতে ফুটবল খেলতে হতো স্থানীয় অধিবাসীদের। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কাছে যখন চাহিদা জানতে চাওয়া হয়, প্রায় সবাই ফুটবল মাঠের কথাই বলেছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করতেই সরকারের দিক থেকে এমন উদ্যোগ। এমনও দ্বীপ আছে, যেখানে অধিবাসী হয়তো শ-খানেক, কিন্তু সেখানেও তারা একটা পূর্ণ মাপের ফুটবল মাঠ পেয়ে গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল টিম হোটেলে বসে বলছিলেন সুজেইন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লামু অ্যাটলের গান দ্বীপে তো স্টেডিয়ামই হয়ে গেছে। গত বছরই মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচও খেলেছে মালদ্বীপ সেই মাঠে। মালে সিটির বাইরে মালদ্বীপে হওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও সেটি। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাহিবাদু দ্বীপে পেলের নামেও স্টেডিয়াম করেছে তারা। খুব শিগগির মালদ্বীপ প্রিমিয়ার লিগও হয়তো মালের বাইরে আয়োজিত হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৩ সাফের পর প্রায় দুই দশক অর্থাৎ গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগ পর্যন্ত মালদ্বীপ আধিপত্য করেছে বাংলাদেশের ওপর। গত সাফ এবং এরপর বিশ্বকাপ বাছাই প্লে অফের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ২ জয় ও ১ ড্রয়ে মনে করা হয়েছিল ধারাটা বদলাচ্ছে। কিন্তু গত পরশুর হার এবং শত মাঠের ওপর মালদ্বীপ ফুটবলের এভাবে বেড়ে ওঠা বলছে মালদ্বীপ পেছনে পড়ে থাকবে না মোটেও।</span></span></span></span></p>
