<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অত গ্ল্যামারাস নন, তারকা খ্যাতিও তাঁর নেই! তাঁকে ঘিরে আলোচনার তীব্রতা অনেকটা তারাবাতির মতো। এই জ্বলে তো এই নেভে। হয়তো তা-ও নয়। কখনো সাকিব আল হাসানের ছায়া তো কখনো অন্য কারো নায়ক হয়ে ওঠা তাইজুল ইসলামকে তারা হয়ে কমই জ্বলতে দিয়েছে। দল থেকে বাদ পড়লেও ক্যামেরার স্পটলাইট তাইজুলকে খুঁজে নেয়নি। এই যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের আগের চার ম্যাচের মাত্র একটির একাদশে ছিলেন তাইজুল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/22-10-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="452" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/22-10-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" style="float:left" width="250" />নিয়তি মেনে নিয়ে তাইজুল শুধু নিজের কাজটাই ঠিকঠাক করেছেন। তা না হলে কি ক্যারিয়ারের রং এমন উজ্জ্বলতা ছড়ায়? এখন পর্যন্ত তাইজুলের ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সাকিবের ছায়ার আড়ালে ছিল। দুজনেই বাঁহাতি স্পিনার, তবে ব্যাটিং সাকিবকে তাঁর চেয়ে যোজন দূরত্বে এগিয়ে দিয়েছিল। সেই সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় যখন লেখা হয়ে গেছে, তখনো তাইজুলকে ঘিরে প্রতিটা প্রশ্নে মিশে থাকলেন সাকিব। আক্ষেপ, অভিমান লুকিয়ে তাইজুল সংবাদকর্মীদের হাসালেন, নিজেও হাসলেন। কখনো কখনো একটু বিরক্তিও যেন ছুঁয়ে গেল। কোনো কোনো প্রশ্নে তিনি সিরিয়াস। এর কোনোটাকেই অবশ্য তাইজুলের চরিত্রের সঙ্গে মেলানো কঠিন। সবচেয়ে মানানসই যেটি, সেই নীরবতাই যেন এদিন বিসর্জন দিয়েছিলেন তাইজুল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে নীরবতা অবশ্য তাঁকে ভাঙতেই হতো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনের আগে মাঠেও তা-ই করেছেন তাইজুল। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন প্রোটিয়াদের খোয়ানো ৬ উইকেটের পাঁচটিই তাঁর। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফাইফারে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র পথে একটি মাইলফলকেও নাম লিখিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটটি টেস্ট ক্যারিয়ারে তাইজুলের ২০০তম উইকেট। এই সংস্করণে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটের ক্লাবে জায়গা পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুল এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন নিজের ৪৮তম টেস্টে। পেছনে ফেলেছেন ৫৪ টেস্টে এই <img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/22-10-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="693" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/22-10-2024/2/kalerkantho-sp-1b.jpg" style="float:right" width="300" />ক্লাবে নাম লেখানো সাকিবকে। আরো একটি জায়গায় এদিন সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬ ম্যাচে তাইজুলের এখন ৭৯ উইকেট। আর ২১ ম্যাচে ৭৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনের সেরা পারফরমার হিসেবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে এলেন তাইজুল। এমন এক সংবাদ সম্মেলন করলেন, যেখানে তাইজুলের অনেক রূপই দেখা গেল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হচ্ছে, সাকিব দলে থাকার সময় যেমন, তেমনি সাকিবের অনুপস্থিতিতেও নিজের নৈপুণ্যের ওপর আস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি। নিজেই তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাইজুল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাকিব ভাই ছাড়া আমি খেলিনি, তা তো না। উনি যখন ছিলেন, তখনো খেলেছি। নিউজিল্যান্ডে যখন টেস্ট (মাউন্ট মঙ্গানুই) জিতেছি, সাকিব ভাই ছিলেন না। আমাদের এখানে যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছি (সিলেটে), তখনো সাকিব ভাই ছিলেন না। এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। আপনি তো একজন ক্রিকেটারকে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে তাইজুল বাস্তববাদী মানুষ। তাই তিনি মুত্তিয়া মুরালিধরন আর রঙ্গনা হেরাথের গল্পটাকে নিজের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন। যে গল্পের মুরালিধরন হচ্ছেন সাকিব, তিনি নিজে হেরাথ। মুরালির ছায়া থেকে বেরিয়ে একদিন আকাশ ছুঁয়েছিলেন হেরাথও। সাকিবের জন্য কম সুযোগ পাওয়াকে তাই বঞ্চনা মনে করেন না তাইজুল, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেকে আছে, বড় খেলোয়াড় ছিল, তারা খেলার সময় অন্যরা সুযোগ কম পেত। মুরালিধরনের সময় হেরাথ খেলতে পারেনি। পরে হেরাথও অনেক উইকেট পেয়েছে, দীর্ঘদিন খেলেছে। সামনে দেখি ভালো কিছু হয় কি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা রইল!</span></span></span></span></p>