<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আট থেকে সর্বোচ্চ ১০ ফুট উচ্চতার গাছ। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে থোকা থোকা কমলা। এরই মধ্যে পাকা রং ধরেছে। সূর্যের আলোচ্ছটায় পাকা কমলার হলুদাভ বর্ণে ঝলমল করছে গাছগুলো। চোখজুড়ানো এই দৃশ্যটি দেখা গেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাওয়াক্কালনা ফ্রুটস বাগানে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই গ্রামটির একটি বাগানে দার্জিলিং ও মান্দারিন জাতের কমলা চাষ করা হয় ২০২১ সালে। চাষের পর এবারই প্রথম শতভাগ ফলন মেলেছে। পাকা রং ধরার আগেই বাগান ঘিরে আশপাশের মানুষের তুমুল আগ্রহও তৈরি হয়। তারা বাগানে ভিড় জমান। অনেকে থোকা থোকা কমলার সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ফলে এরই মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কমলার এই বাগানটি পরিচিতি পেয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাইরাল বাগান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জেনে প্রতিদিনই সেখানে যাচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থী। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ায় এরই মধ্যে বাগানটি দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাদ দেখে যে কেউ নিজের হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে কমলা কিনতে পারছেন। কমলা না কিনলেও ৩০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিট কিনে যে কেউ ঘুরে দেখতে পারেন বাগানটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০২১ সালে ১০ বছর চুক্তিতে প্রায় আট বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে বাগানটি করেন চারজন কৃষি উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা চারজনই চার জেলার বাসিন্দা। তারা হলেন নেত্রকোনার মো. অলিউল্লাহ বাইজিদ, চট্টগ্রামের মো. ফারুক আহমেদ, নোয়াখালীর আব্দুল মতিন ও রংপুরের আইনুল হক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অলিউল্লাহ বাইজিদ জানান, ব্যবসার সুবাদে চারজনের পরিচয়। পরে কৃষির প্রতি ঝোঁক থেকে তারা উদ্যোগটি নেন। এর আগে ওই চারজনের মধ্যে একমাত্র তিনিই শখেরবশে কমলা চাষ করেছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগানের পরিচর্যাকারী মো. সবুজ মিয়া জানান, ঝিনাইদহের একটি নার্সারি থেকে সব মিলিয়ে ১৫০টি কমলার চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। এর মধ্যে দার্জিলিং ১০০, বাকি ৫০টি মান্দারিন জাতের চারা। এ থেকে গত বছর প্রায় ৭০ শতাংশ ফলন পান। এ বছরই প্রথম প্রতিটি গাছ থেকেই ফলন মেলে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবুজ মিয়া জানান, বাগান থেকে এ বছর দার্জিলিং জাতের কমলা বিক্রি শুরু করেন গত ১৫ নভেম্বর থেকে। মান্দারিন জাতের কমলা বিক্রি শুরু হবে আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে। বাগান থেকে দার্জিলিং কমলা ৩০০ টাকা ও মান্দারিন জাতের কমলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কেনা যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বাগানটির প্রধান ফটকের সামনে কাগজে লেখা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন লাঞ্চ টাইম, প্রবেশ নিষেধ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ওই সময় প্রধান ফটকের সামনে দুই নারীসহ তিনজনকে অপেক্ষমাণ দেখা গেল। অপেক্ষমাণ নারী রুবিনা আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগানটি দেখেছি। আজ দেখতে চলে আসলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>