<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই বিপ্লবে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস, ছাত্রসংসদ চালুসহ বৈষম্যমুক্ত ক্যাম্পাসের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে সরব থাকেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাঁদের এসব দাবি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে কি না তা নিয়ে উঠে এসেছে আলোচনা-সমালোচনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছরের শুরুর দিকেও হল থেকে শিক্ষার্থী নামিয়ে দেওয়া, আসন বাণিজ্য কিংবা শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে একাধিকবার। ৫ আগস্ট-পরবর্তীতে বদলে গেছে সেই চিত্র। তবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টির এখনো সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। প্রশ্ন থেকে যায় ১০০ দিন পার হওয়া এই সময়ে কী পেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ : ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পোস্টার, ফেস্টুন লক্ষ করা গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবার অনেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বদলে সংস্কারের কথা ভাবছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ৯ তারিখে মতবিনিময়সভাও হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত রূপরেখাসহ দাবি জানাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাকসু নিয়ে অগ্রগতি নেই : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রসংসদ চালুর দাবি ওঠে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান করতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন খুবই জরুরি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে অক্টোবরের ২১ তারিখে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ক্যাম্পাসে সক্রিয় রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেন। এর আগে একই মাসের ৯ তারিখে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধির সঙ্গেও মতবিনিময় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যহীন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ : স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনাসংক্রান্ত ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে ভর্তির বিষয়ে কোটাসংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধার স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিশেষ কোটায় ভর্তি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তিতে এখনো চার ধরনের কোটা বহাল রয়েছে। এর মধ্যে বেশি কোটা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহে ভর্তি কমিটির এক সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা বাতিল করা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের নির্ধারিত পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন (প্রশাসন) বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাকে কোটা বলা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে সেই প্রতিষ্ঠান দুই ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। একটা অর্থনৈতিক, অন্যটা অনার্থিক সুবিধা। আর এটাতে মেরিটের কোনো সিট কমে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>