<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ভোলার তজমুদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মন্নানের ছেলে মো. মনির। ওই দিন রাতেই ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার আধাঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তাঁর। শহীদ মনির ঢাকার ইসলামপুরে ঝুটের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করলেও গত এক বছর আগে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ মো. মনিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম জানান, ছোটবেলা থেকেই মনির জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চলে যান। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। সর্বশেষ গার্মেন্টের ঝুটের ব্যবসা শুরু করেন। স্বামীর আয়ের টাকায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তাঁদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আনন্দ মিছিলে যান মো. মনির। দুপুরের দিকে স্ত্রীকে ভিডিও কলে সেই মিছিলের চিত্র দেখিয়েছেন। সন্ধ্যার পরও কথা হয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে। ওই দিন রাত ২টার দিকে তাঁর মোবাইলে এক অপরিচিত লোক কল দিয়ে জানান ঢাকার বংশাল থানার সামনে মনির গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মনিরের পেটে একটি গুলি প্রবেশ করে পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার কল আসে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন। ৬ আগস্ট ভোরে মনিরের মা-বাবা হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে আসেন। ওই দিন গ্রামের বাড়িতে তাঁকে দাফন করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্ত্রী রোজিনা আরো জানান, স্বামীর মৃত্যুর দুই দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ১০ দিন পর ছেলে-মেয়েসহ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এরপর ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তাঁর আশ্রয় হয় বাবার বাড়িতে। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী থেকে দুই লাখ টাকা ও ভোলার জেলা প্রশাসক থেকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা সহায়তা পান তিনি। ওই টাকার সমান ভাগ দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এটি নিয়ে তাঁরা স্থানীয়ভাবে সালিস বসিয়েছেন। এরপর ওই টাকা থেকে তাঁদের ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ব্যাংকে রেখে দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোজিনা বেগম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বামীর মারা যাওয়ার পর শোক না কাটতেই আমার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকেসহ আমাকে স্বামীর টাকায় নির্মাণ করা ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন শ্বশুর-শাশুড়ি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি স্বামী হত্যার বিচারের পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা ও একটু থাকার জায়গার ব্যবস্থা করার দাবি জানান সরকারের কাছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>